পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vÁXTS 'e Ceca í aa俊” হইতে কে কি তুলিয়া লইল যে জন্য দরিদ্রের দরিদ্র হইয়া । গেলাম। কি যেন ঘোর যবনিকা চক্ষের উপরে পড়িল যে জন্য পুর্বের সে আলোক আর দেখিতে পাইতেছি না।” এই অবস্থাতে আত্মা বলিতে থাকে, “রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন। মাং পাহি নিত্যম।” “হে রুদ্র ! হে ভীতিপ্ৰদ, তোমার প্ৰসন্ন মুখের দ্বারা আমাকে রক্ষা কর।” এই অনুতাপে লোকের স্তুতি বা নিন্দার চিন্তা মনে আসে না ; অথবা নিজের ক্ষতি বা লাভের গণনা হৃদয়ে উদিত হয় না । ইহাই হৃদয়কে পরিাবৰ্ত্তিত করিয়া থাকে। ভূতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ বলিয়া থাকেন, যে বর্ষার জলরাশি ভূগর্ভে প্রবিষ্ট হইয়া যখন তদন্তরস্থ চুৰ্ণ সদৃশ পদার্থপুঞ্জে প্রবিষ্ট হয়, তখন তন্মধ্যে এক প্রকার উত্তাপ জন্মে। সেই উত্তাপেরই প্রভাবে ধরা পৃষ্ঠ ঘন ঘন কম্পিত হয় ; এবং কখনও কখনও ধরা পৃষ্ঠ বিদারণ করিয়া জ্বালারাশি ও দ্রবধাতু-পুঞ্জ বহির্গত হইতে থাকে ; ইহাকেই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বলে। যেমন বর্ষার বারি ও ভূগর্ভস্থ ধাতুপুঞ্জের সম্মিলনে ঘোর বিপ্লব ঘটে, তেমনি অকৃত্রিম অনুশোচনাতেও মানব-হৃদয়ে বিপ্লব ঘটাইয়া থাকে। তাহার প্রভাবে ডুকম্পের ন্যায় ঘন ঘন হৎকম্প হইতে থাকে, এবং দেখিতে দেখিতে হৃদয় রূপান্তরিত হইয়া যায়, ইহাকেই বলে প্ৰকৃত অনুতাপ । , এখন প্রশ্ন হইতে পারে প্রকৃত অনুতাপের লক্ষণ কি ? এ প্রশ্নের প্রথম উত্তর ত অগ্ৰেই দেওয়া হইল। যাহাতে হৃদয়ে ও জীবনে পরিবর্তন উপস্থিত না করে তাহ প্ৰকৃত অনুতাপ নহে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ মনে কর তণ্ডুল। যদি অন্নরূপে পরিবৰ্ত্তিত