পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VRY- v9RVU) যেমন অদৃশ্য বাস্পারাশি হইতে সমুথিত হইয়া ক্ষণকাল, দৃশ্য থাকিয়া পরে বৃষ্টিধারী রূপে অবতীর্ণ হইয়া ধরিত্রীর গর্ভে ও নদ নদী, সরোবর ও সাগরের জলরাশির মধ্যে পড়িয়া আবার বাষ্পাকার অবলম্বন করে, এই জগৎও তেমনি অদৃশ্য হইতে উৎপন্ন হইয়া অদৃশ্যে বিলীন হইয়া থাকে। জীবাত্মাও এইরূপে পরমাত্মাতে বিলীন হইয়া যায়। এই যোগের ভাবের মধ্যেও সূক্ষমভাবে জড়ীয় ভােব নিহিত রহিয়াছে। এরূপ যোগের কল্পনা যাহার করেন, তাহারা যেন মনে করেন, যে শরীরটা একটা শিশি ও আত্মাটা একটা আরক ; যেমন শিশি হইতে আরকটা ঢালিয়া দেওয়া যায়, তেমনি যেন শরীর হইতে আত্মাটাকে ঢালিয়া দেওয়া হইবেআরকে আরক মিশিবে । কিন্তু অধ্যাত্মি-যোগের অর্থ এ প্রকার নাহে । অধ্যাত্মি-যোগ অর্থাৎ "আত্মাকে অধিকার করিয়া বা আত্মাকে আশ্রয় করিয়া যে যোগী। শরীর সম্বন্ধে যেমন দূর, নিকট, সংযোগ, বিয়োগ প্ৰভৃতি শব্দ আমরা সর্বদা ব্যবহার করিয়া থাকি, আত্মা সম্বন্ধেও সেইরূপ দূর নিকট, সংযোগ ও বিয়োগ প্ৰভৃতি শব্দ সর্বদা ব্যবহার করি। ব্যক্তি বিশেষের নাম করিলে বলিতেছি,-“উনি আমার কাছের লোক” কাহার ও বা নাম হইলে বলিতেছি-‘উনি অনেক দূরের লোক।” কেবল যে এ প্রকার ভাষা ব্যবহার করিতেছি তাহা নহে, অন্তরেও মানুষে মানুষে দূরত্ব ও নৈকট্য সম্বন্ধে তারতম্য * অনুভব করিতেছি। এ সংসারে