পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । সংখ্যা এদেশে হ্রাস হইতে লাগিল। অবশেষে যাহা অবশিষ্ট । ছিল, মুসলমান রাজগণ আসিয়া তাহ সমাপ্ত করিলেন। তাহারা দলে দলে মুণ্ডিত মস্তক বৌদ্ধ যতিদিগকে হত্য করিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের একেবারে নির্বাণ প্ৰাপ্ত করিলেন। যদি এই বিবরণ সত্য হয়, তাহা হইলে ইহার মধ্যে আমাদের চিন্তা করিবার উপযুক্ত একটী বিষয় আছে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভারতবর্ষে যতিদিগের ধৰ্ম্মরূপে প্ৰচারিত হইয়াছিল বলিয়াই কালে নিধন প্ৰাপ্ত হইল । যদি ইহ সমাজবিরোধী ধৰ্ম্ম না হইয়া সামাজিক ধৰ্ম্ম হইত, যদি ইহ। মানবের গাৰ্হস্থ্য জীবনকে হেয় জ্ঞানে পরিহার না। করিয়া তাহাকে উন্নত করিবার প্রয়াস পাইত, তাহা হইলে ইহাকে কেহ উচ্ছিন্ন করিতে পারিত না । দুন্টান্তস্বরূপ আমরা খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের ইতিবৃত্তের উল্লেখ করিতে পারি। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রারম্ভ হইতেই সামাজিক ধৰ্ম্ম ও গৃহীর ধৰ্ম্মরূপেপ্রচারিত হইয়াছিল । প্রারম্ভ হইতেই নারীগণ ইহাকে হৃদয়ে স্থান দিয়াছিলেন। যীশুর জীবনচরিতে দেখিতে পাই, বেথোনি নামক স্থানে একপরিবারে এক ভ্ৰাতা ও দুই ভগিনী বাস করিতেন ; যীশু যেরূশালেম যাত্রার পথে র্তাহীদের ভবনে আতিথ্য গ্ৰহণ করিতেন, তাহদের সঙ্গে বাস করিতে ভাল বাসিতেন ; উক্ত দুই ভগিনীর প্রতি র্তাহার আন্তরিক শ্ৰীতি ছিল ; তাহদের দুঃখে তাহার চক্ষে জল পড়িত ; তিনি তাহদের সুখে সুখী হইতেন। এমন কি তাহার মৃত্যু দিনে, সেই ঘোর সময়ে, তাহার পুরুষ শিষ্য