পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব-জীবন । SW) ছিলেন। বিদায় প্রার্থনা করিতে গিয়া, জামাতা ঘরে প্রবেশ করিয়া বৃদ্ধের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বুঝিতে পারিলেন যে তিনি কঁদিতেছিলেন । তিনি শ্বশুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন,- আপনাকে এতটা উত্তেজিত দেখিতেছি তাহার কারণ কি ? আপনি কাদিতেছিলেন কি ?’ উত্তরে তাহার শ্বশুর বলিলেন,- “অনেক বৎসর গত হইল। যখন আমাদিগের বিষয় সম্পত্তি ভাগ হয় তখন একখানি কুড়ালি, যাহা আমি আতিশয় ভাল বাসিতাম, পাছে আমার ভাগে না পড়িয়া ভ্ৰাতার ভাগে পড়ে, এই ভয়ে আমি তাহা অগ্ৰেই লুকাইয়াছিলাম। এখন সেই কথা মনে হইয়া আমার যার পর নাই যাতনা হইতেছে, কেন আমার ভাইকে আমি প্ৰবঞ্চনা করিয়াছিলাম ? ভাই এখন আর ইহজগতে নাই, আমি ত আর তার ক্ষতি পূরণ করিতে পারিব না। এই অনুতাপে আমি কঁাদিতেছি।” চল্লিশ বৎসর পরে একটী পাপ স্মরণ করিয়া এরূপ অশ্রুপাত করা কি কোনও ইতর প্রাণীর পক্ষে সম্ভব, ইহা মানবেরই উচ্চ অধিকার । এইরূপ আত্ম-প্ৰসাদের উচ্চতা ও কেবল মানবে সম্ভব । কোনও সৎকার্স্যের অনুষ্ঠান করিলে মনে যেরূপ আনন্দ হয়, সেরূপ আনন্দ ইত্যর প্রাণীতে সস্তবে না । ইহার একটা দুন্টান্ত দিতেছি ;-ডেনমার্ক দেশে যখন ভয়ানাক শীত পড়ে, তখন সমুদ্রের জল জমিয়া তুহিন-শিলাময় হইয়া যায়। তখন সহরের লোক সেই তুহিন-রাশির উপরে শ্নেজনামক গাড়ী লইয়া ক্রীড়া করিতে যায়। কিন্তু সে দেশে মধ্যে মধ্যে এক প্রকার