এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধুলিরাশি।
২৭
মলিন-বসনা দেবী, রুক্ষ কৈশ-রাশি,
নয়নের কোলে, আহা! কালিমা পড়েছে।
সরল মু’খানি যেন আকাশের শশী,
বিষাদের কাল মেঘে মলিন করেছে॥
নাহিক যখন তার নিজ দেহপ্রতি,
নাহি কোন(ও) অহঙ্কার, রূপের গৌরব।
বাজাইছে ধীরে ধীরে সুমধুর অতি,
অবাক হইয়া শুনে বৃক্ষ গিরি সব॥
অসিত চিকুর’পরে পড়েছে শিশির,
আঁধার গগণে যেন তারকানিচয়।
কমল-কানন-খানি ভাসে অশ্রুনীরে,
একাকী রয়েছে বসি’ নাহি কোন(ও) ভয়।
চাহিনু তখন আমি কল্পনার পানে,
কহিলাম, “কহ সখি, কে এই রমণী।
কেন বা কঁদিছে হেথা বসিয়া নির্জ্জনে,
বাজাইছে ধীর স্বরে মোছিয়া ধরণী।”