পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই সহরে লালুভাই মতিওয়াল। একজন জহরী, তাহার জহরতের দোকান বোম্বাই অঞ্চলের সন্ত্রাস্ত মহিলা ও পুরুষ সমাজে অত্যন্ত খ্যাতি লাভ করিয়াছিল। পারসী ধন কুবেরের বাপুভাইয়ের যথেষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা করিতেন ; সন্ত্রাস্ত পারসী মহিলাগণ স্বয়ং সেই দোকানে উপস্থিত হইয়া তাহদের পছন্দ মত অলঙ্কারের বায়না দিয়া আসিতেন । হামিলটনের বাড়ীর অলঙ্কার যেমন কলিকাত অঞ্চলের অনেক বাড়ীর সন্ত্রাস্ত মহিলা ও পুরুষের অহঙ্কারের বিষয়, সেইরূপ বাপুভাই মতিওয়ালার দোকানের অলঙ্কার সম্রাস্ত পারসী মহিলাগণের অহঙ্কারের বিষয় ছিল । বাপুভাই নগদ মূল্য না পাইলেও অনেক সময় অনেক রূপসী পারসী মহিলাকে অলঙ্কারাদি বিক্রয় করিত,এবং টাকা কড়ি ধর দিত । কিন্তু যিনি একবার তাহার ঋণজালে জড়িত হইতেন, র্তাহার আর উদ্ধারের আশে থাকিত না ; এমন কি, এইরূপ ঋণজালে আবদ্ধ হইয়। অনেক সুন্দরীকে অনেক সময় নানারূপ অন্যায় কার্য্যেরও প্রশ্রয় দিতে হইত। পূৰ্ব্ব পরিচ্ছেদে আমরা যে দিনের কথা বলিয়াছি, সেই দিন অপরাহ্নে জেমসেটুজি প্রেমজিকে সঙ্গে লইয়। অদূরবর্তী একটি হোটেলে জলযোগ শেষ করিয়া বাপুভাই মতিওয়ালার দোকানে উপস্থিত হইলেন।