পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ {} ›ዓ¢ জেমসেটুজি বলিলেন, “ফল এই হইবে যে, আমরা প্রত্যেকে চার পাচলক্ষ টাকা হস্তগত করিতে পারিব ; অবস্থানুসারে লাভের পরিমাণ আরও অধিক হইতে পারে। এখন তুমি বল, আমাদের কার্য্যে যোগদান করিবে কি না ?” উকীল বামনজি বলিলেন, "না, আমি সকল দিক্ বিবেচনা করিয়। বলিতেছি ইহাতে যোগদান করিতে আমি প্রস্তুত নহি ; তোমাদের ংশ্রব পরিত্যাগে কেন উদ্যত হইয়াছি, তাহা তোমাদের নিকট প্রকাশ করিতেও আমার আপত্তি নাই। অনেকদিন পূর্বে আমি তোমাদের জানাইয়াছিলাম, তোমাদের সহিত আমি আর কোনও সংস্রব রাখিব ন, কিন্তু সে কথা তোমরা ভুলিয়া গিয়াছ। স্বীকার করি তোমাদের সঙ্গে যোগ দিয়া আমি অনেক কুকার্য্যে লিপ্ত হইয়াছিলাম ; কিন্তু অভাবের তাড়নায় আমরা যে কার্য্য করিয়াছিলাম, অপেক্ষারত সচ্ছল অবস্থায় আর তাহ শোভা পায় না।” ডাক্তার বিদ্রুপের ভঙ্গিতে বলিলেন, “কিন্তু কুকৰ্ম্মের সহায়তায় আমরা যে অর্থ উপার্জন করিতেছি, তাহার অংশ গ্রহণ তোমার পক্ষে শোভা পায় । অতি চমৎকার ধৰ্ম্মজ্ঞান !" বামনজি বলিলেন, “আমি বখর লইতেছি সত্য, কিন্তু যে কারবার হইতে লাভের অংশ পুইতেছি, সেই কারবারটিকে এখন লাভজনক করিয়া তুলিবার জন্য আমি কাহারও অপেক্ষ অল্প পরিশ্রম করি নাই ; সুতরাং তাহার লভ্যাংশে আমার ন্যায্য অধিকার আছে। কারবার বন্ধ করিলে, আমি এক পয়সাও চাহিব না। কিন্তু যদি তোমরা নূতন নূতন উপায়ে অর্থোপার্জনের ফন্দিতে প্রতিপদে বিপন্ন হইতে প্রস্তুত