পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S Ob- নন্দনে নরক বড় দুঃখ হয় ] তোমার পিতা মাতা বাচিয়া থাকিলে, তোমার ন্যায় গুণবান পুত্রকে লইয়া তাহারা কত সুখী হইতেন ! ছেলে যদি ভাল হয়, তাহা হইলে তাহার পিতা তাহার জন্য সকলই করিতে পারেন। তুমি আমার ছেলেকে চেন ?” এইবার নওরোজি বৃদ্ধের ক্রোধের কারণ কতকটা বুঝিতে পারিলেন, তিনি বুঝিলেন, তিনি পুল্লের কোনও ব্যবহারে মৰ্ম্মাহত হইয়া একথা বলিতেছেন। বৃদ্ধের প্রশ্নে তিনি ইতস্ততঃ করিয়া বলিলেন, “আপনার পুত্রের সহিত আমার যৎসামান্য পরিচয় আছে।" বৃদ্ধ বলিলেন, “আমার ছেলের কত গুণ তাহ বোধ হয় তুমি জান না । তাহার স্বভাব চরিত্র ও চাল-চলন অত্যন্ত বিগড়াইয়া গিয়াছে ; তাহার আর একটা খেয়াল হইয়াছে, সরকারের নিকট হইতে একটি খেলাৎ না পাইলে আর তাহার মন স্থির হইতেছে না! আমাকে পিতা বলিয়া পরিচয় দিতে তাহার লজ্জা হয়! কিন্তু কণ্টাক্টরি করিয়া আমি মে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করিয়াছি, তাহ ধূলিমুষ্টির মত উড়াইতে তাহার আপত্তি নাই ।” নওরোজি বলিলেন, “র্তাহার বয়স এখনও কম ; বুদ্ধি পরিপক্ক হয় নাই ।” এই কথা শুনিয়া বৃদ্ধের ক্রোধ অত্যন্ত বৰ্দ্ধিত হইল, তিনি উত্তেজিত ভাবে বলিলেন, “দাড়ী গোপ পাকিলে আবার তাহার বুদ্ধি গজাইবে । হতভাগাটা এমন নিরেট যে, তাহার বাপের টাকা আছে বলিয়াই লোকে তাহার তোৰামোদ করে, তাহ সে বুৰিতে পারে না। তাহার বয়স এখনও বিশ বৎসর পূর্ণ হয় নাই, এই বয়সেই সে একেবারে