পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ·GG") আমিনা আর কোনও কথা না বলিয়া প্রস্থান কারল। আমিন প্রস্থান করিলে, ওস্তাদ হাসিয়া বলিল, “তুমি বড় চতুরা, কিন্তু আমার ফণদে তোমাকে পড়িতেই হইবে।” অামিন ওস্তাদের গৃহ হইতে ফুলিয়ার মার গৃহে আসিয়া তাহাকে আশ্বস্ত করিল, এবং তাহার নিকট দোয়াত কলম চাহিয়া লইয়া বায়রামজিকে এক খুনি পত্র লিখিল । এজর সাহেবের একটি ভূত্যের সহিত ফুলিয়ার মার আত্মীয়তা ছিল, সুতরাং ফুলিয়াকে এজরা সাহেবের বাড়ী পাঠাইলে কাহারও মনে সন্দেহের উদ্রেক হইবার সম্ভাবনা নাই বুঝিয়া, আমিনা সেই পত্ৰখানি ফুলিয়াব হাত দিয়া বায়রামজির নিকট পাঠাইয়৷ দিল । অামিনা এই পত্রে পরদিন অপরাহ্ন তিনটার সময় বায়রামজিকে ওস্তাদের বাড়ীতে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জষ্ঠ অনুরোধ করিয়াছিল । বায়রামজি পরদিন বেলা তিনটার পূর্বেই ওস্তাদের গৃহে উপস্থিত হইল, এবং আরও কিছু টাকা ধার লইবে, এরূপ অভিপ্রায় জানাইল । বায়রামজির সহিত ওস্তাদের কথাবাৰ্ত্ত চলিতেছে, এমন সময় আমিনার গাড়ী ওস্তাদের গৃহস্বারে আসিয়া দাড়াইল । গাড়ীর চক্রশব্দে ওস্তাদ ব্যস্ত ভাবে উঠিয়। গিয়া আমিনার অভ্যর্থনা করিল, ও বায়রামজি যে কক্ষে বসিয়াছিল, সেই কক্ষে তাহাকে সঙ্গে করিয়া আনিল । দুই এক মিনিট পরেই, বাহিরে একটা কাজ আছে বলিয়া, ওস্তাদ সেই কক্ষ ত্যাগ করিল, ও বাহির হইতে দরজা ঠেলিয়া দিল । २ रे