পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ পরিচ্ছেদ 8ፃፃ জাহাঙ্গীরজি বলিল, “জাল কি ? আমি ত আর কাহাকেও ফাকি দিব না যে, তুমি ইহাকে জাল বলিবে । ফাকি দেওয়ার উদ্দেশু থাকিলে তুমি জাল বলিতে পারিতে ; টাকা সহজে পাইবার জন্য হাওনোটে আমি নিজের নামের সঙ্গে অন্যের নাম ব্যবহার করিয়াছি। গুল বাইয়ের অলঙ্কারের জন্য জহরৎ ওয়াল বাপুভাইকে এ টাকা দিয়াছিলাম। টাকা দুই এক দিনের মধ্যে দিতে না পারিলে, আমাকে বড় বিপদে পড়িতে হইবে ; কিন্তু বাবার কাছে এক পয়সাও পাইবার উপায় নাই ; এমন কি, তিনি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিবার উপক্রম করিয়াছেন,আমার গুল বাইকে যে কোথায় সরাইয়াছেন তাহ ঠাহর করিতে পারিতেছি না । বড়ার ভয়ঙ্কর মতি ভ্রম উপস্থিত ! তুমি বোধ হয় জান না, মেয়ে লোকের আমি বড় খাতির রাখি না, কিন্তু গুল বাইয়ের কথা স্বতন্ত্ৰ ; এমন সুন্দরী এ অঞ্চলে নাই, সে আমাকে প্রাণ ভরিয়া ভালবাসে, কিন্তু বাবার অত্যাচারে তাহাকে কাছে রাখিবার উপায় নাই । বাবা যে দিন তাহাকে সরাইয়াছেন, সেই দিন হইতে মাতৃহীন শিশুর মত অনাথ হইয়া পড়িয়াছি। আমার জীবনে সুখ নাই, বাচিবার ও ইচ্ছা নাই ।”— জাহাঙ্গীরজি পকেট হইলে রুমাল বাহির করিয়া চক্ষু মুছিল; নিদারুণ বিরহ যন্ত্রণায় তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছিল । এই করুণ দৃপ্ত দেখিয়া নওরোজি অতি কষ্ট হান্ত সংবরণ করি: লেন, তিনি সহানুভূতি ভরে বলিলেন, “আপনি এত হতাশ হইবেন না, বিপদে ধৈর্য্যাবলম্বনই কৰ্ত্তব্য ।” জাহাঙ্গীরজি বলিল, “তুমি ত গুরুমহাশয় গিরি করিয়াই খালাস, আমার মন যে অস্থির হইয়া উঠিয়াছে ! বাব। মরিলে গুল বাইকে