পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ Ք Ե(* তোমাকেত আর সুদ ছাড়িতে বলিতেছি না, টাকা আনিয়াছি, হাণ্ডনোট ফেরৎ দিয়া টাকা লও।” আদমজি বলিল, “এখন সে হাগুনোট ফেরৎ দেওয়া অসম্ভব ।” জাহাঙ্গীরজি সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল, “অসম্ভব কেন ?” আদমজি ক্ষণকাল ইতম্ভতঃ করিয়া বলিল, “হাওনোট গুলি এখন অামার কাছে নাই ।” জাহাঙ্গীরজি অত্যস্ত বিরক্তি ভরে বলিল,“এ কি রকম কথা ! আমার হাগুনোট গুলি এ ভাবে হস্তান্তরিত করিবার অভিপ্রায় কি ?” আদমজি বলিল, “হঠাৎ আমার দরকার হওয়ায় আমি স্থাগুনোট গুলি বিক্রয় করিয়া ফেলিয়াছি।” এ কথা শুনিয়া জাহাঙ্গীরজির বিস্ময়ের সীমা রহিল না ; সে উত্তেজিত হইয়া বলিল, “আমার এই হাণ্ডনোট সাধারণ হ্যাগুনোটের মত নহে, ইহা হস্তান্তর করা অত্যন্ত অঙ্গায় হইয়াছে ; যাহা হউক, তুমি যেখানেই তাহা বিক্রয় কর, আমাকে এখনই তাহ আনিয়া দিতে হইবে।” এতক্ষণ পরে মওরোজি কথা কহিলেন, বলিলেন, “জাহাঙ্গীরঞ্জি সাহেব সঙ্গত কথাই বলিতেছেন, আপনি তঁহাকে পাচ হাজার টাকা কৰ্জ দিয়াছিলেন, ইহাতে দোষের কথা কিছুই নাই । কিন্তু এই সামান্ত টাকার জন্য, আপনি তাহাকে অষ্ঠের নাম জাল করিবার জন্য পরামর্শ দিয়াছিলেন, ইহু! আপনার ন্যায় লোকের পক্ষে সঙ্গত श्झ मांझे ।” আদমজি যেন আকাশ হইতে পড়িল; অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করিয়৷