পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮏbr নন্দলে নব্লক নওরোজি বলিলেন, “আমরা যে উপায়ে পারি হ্যাগুনোটগুলি আদায় করিয়া তবে আপনাকে ছাড়িব ।” আদমজি কোন কথা না বলিয়া চেয়ার ছাড়িয়া উঠিল, এবং সেই কক্ষ হইতে প্রস্থানোদ্যত হইল। নওরোজি তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া এক লম্ফে কক্ষ দ্বারে উপস্থিত হইয়া দ্বার রোধ করিয়া দাড়াইলেন ; উত্তেজিত স্বরে বলিলেন, “আগে আমার কথার জবাব দেন, তাহার পর এখান হইতে যাইতে পারিবেন। কোন রকম গোলমাল করিলে এখানেই আপনাকে বেইজ্জত হইতে হইবে।” আদমজি দেখিল এই যুবক যেরূপ বলবান, তাহাতে কথা কার্য্যে পরিণত করা তাহার পক্ষে কিছুমাত্র কঠিন নহে। সে অপেক্ষাকৃত নরম হইয়া বলিল, “হাওনোটগুলি কাহার নিকট বিক্রয় করিয়াছি, আমার নোট বহি না দেখিলে তাহ বলিতে পারিতেছি না।” নওরোজি বলিলেন, “তবে আপনার নোট বহি দেখুন, কিন্তু আমাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়া আপনি এখান হইতে যাইতে পারি বেন না ।” আদমজি সেই কক্ষস্থিত একটি আলমারি খুলিয়া একখানা খাত বাহির করিল ; খাতার পাতা উল্টাইয়। বলিল "হাগুনোটগুলি বাপুভাই মতিওয়ালা নামক অলঙ্কার বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করিয়াছি।” এই কথা শুনিয়া নওরোজির সন্দেহ প্রবল হইয়া উঠিল ; ইহা যে একটি ভীষণ ষড়যন্ত্রের ফল, তাহা তিনি স্পষ্ট বুঝিতে পারিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাপুভাইয়ের নিকট হ্যাগুনোট গুলি আছে ত ?”