পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ পরিচ্ছেদ 6 N Go. ছুতার মিস্ত্রীর কারখানায় আমি অনেক দিন করাত টানিয়াছি, এ কাজ আমি খুব ভাল পারি।” হীরাজি তিখার হাত ধরিয়া তাহাকে টানিয়া লইয়া গেল ; কাম। সাহেবের যে মুরহৎ নুতন অট্টালিকা নওরোজির তত্ত্বাবধানে চিত্রিত হইতেছিল, হীরাজি ভিখাকে সেই অট্টালিকার সম্মুখে আনিয়া বলিল, “এই অট্টালিকার একজন চিত্রকর আমার একটি বন্ধুর কুষ মন, বন্ধুর মেয়ে মানুষটিকে সে হাত করিয়াছে, তাই চিত্রকরটাকে জঙ্গ করিবার জন্য বন্ধু আমাকে এই টাকা দিয়াছেন।” ভিখা বলিল, “তবে যে বলিতেছিলে, কৱাত দিয়া কাঠ কাটিতে হইবে ? বল, করাত দিয়া চিত্রকরের মাথা চিরিতে হইবে করাত দিয়া অনেক বার কাঠ চিরিয়াছি বটে, কিন্তু জ্যান্ত মাগুষের মাথা চিন্ত্রিবার কখনও সুবিধা পাই নাই।” হীরাজি বলিল, “কি পাগলের মত বকিতেছিস্ ? আগে আমার সকল কথা শোন । আমার বন্ধুর সেই দুষ মন এই বাড়ী চিত্র করিলার ভার পাইয়াছে, আজকাল সে ঐ তেতালার বারান্দtয রেলিংএর পারে লিড়াইয়া বাহিরের দেওয়াল চিত্র করিতেছে ; ঐ রেলিংএর উপরের ও নীচের কাঠ করাত দিয়া এমন বেমালুম কাটিয়া রাখিতে হইবে যে, সে রেলিংএ ভর দিয়া দাড়াইবামাত্র রেলিং সমেত—মজাটা কেমন হইবে বুঝিতে পারিতেছিস ত ?” ভিখা হাসিয়া বলিল, “তা আর বুঝিতে পারি নাই ? যেমন সে রেলিংএর উপর ভর দিয়া দাড়াইবে, অমনি পঞ্চাশ হাত উচু হইতে রেলিং সমেত রাস্তায় পড়িয়া বাছাধনকে একেবারে ছাতু হইতে