পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুকারাম । তোমার অদ্ভূত লীলা আগে শোনা গেছে, প্ৰেত্যক্ষ কেন না হবে। আমাদের কাছে { কি সৌভাগ্য আমাদের তুমি প্ৰভু যবে, আমরা তোমার দাস কি অভাব। তবে ? কৃপাময়, তুকার হে রাখি এ মিনতি, প্ৰকাশে এখনি তব অদ্ভুত শকতি । তুকারামের আসন্নকালে তাহাকে সৰ্ব্বদাই ধ্যানমগ্ন দেখা যাইত । এই কালের একটি প্ৰবাদ। ১ অাছে যে তিনি আলাদীর মন্দিরে গিয়া দেখিলেন যে মন্দিরের প্রাঙ্গণে এক বৃক্ষতলে একপাল পক্ষী চরিতেছিল। তাহাকে দেখিবা মাত্র তাহারা উড়িয়া গেল । ইহা দেখিয়া তিনি বিষাদে মগ্ন হইলেন । তাহাব মনে হইল বে। এখনো আমার মনের মালিন্য আপনীত হয় নাই-এখনো জীব জন্তু আমাকে দেখিয়া শঙ্কিত হয় । যে অবস্থায় প্রাণীমাত্রে আমাকে দেখিয়া ভয় পাইবেন। আমি এখনাে সেই নিষ্কাম শান্তির অবস্থায় উপনীত হইতে পারি নাই। এই ভাবিয়া তিনি সেই বৃক্ষতলে শবের ন্যায়। এরূপ নিশ্চেষ্ট ভাবে দাড়াইয়া রহিলেন যে বিহঙ্গদল র্তা তাকে অচেতন পদার্থ জ্ঞানে তঁহায় গায়ে আসিয়া উড়িয়া বসিল । তুকারামের এই সময়কার রচনাতে সংসার মায়াময়-জীবব্রিহ্মে অভেদএই বৈদান্তিক ভাব প্ৰকটিত দেখা যায়, এবং তিনি ঈশ্বরে লীন হইয়া সংসার চাইতে অপসৃত হইবার ভাব ব্যক্ত করেন। I CFI s সংসারের গায়ে মাখা যতেক ব্যাসন,

  • বিশুদ্ধ ঠায়েছি। চিতে করিয়ে কীৰ্ত্তণ ।