পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী অবশ পড়িয়া আছে কোমল 'ছেফায়” । কখন পড়িতেছিনু ; কন্তু অন্ত মনে গাইতে ছিলাম গীত গুণ গুণ স্বরে,— প্রেমময়,--নব রাগে, নব অমুরাগে, নিরখি অসাবধানে শায়িত শরীর, প্রতিকুল দেয়ালের দীর্ঘ আরসীতে । শিথিল হৃদয় যন্ত্রে, কভু চারমিয়ন ! মধুরে বাজিতে ছিল আনন্দ-সঙ্গীত ; আবার অজ্ঞাতে সখি ! না জানি কেমনে বিষাদ ভাঙ্গিতে ছিল সে লয় মধুর । , কগন হাসিতেছিন্ন, না জানি কারণ ; আবার অজ্ঞাতে অশ্র নয়নে কথন হঠাৎ অসিতেছিল, না জানি কেমনে । একটা মানব-ছায় এমন সময়ে, পতিত হইল সখি ! কক্ষ-গালিচায় ? পলকে ফিরাতে নেত্ৰ দেখিলাম চক্ষে প্ৰাণেশ আমার । কিন্তু সেই মূৰ্ত্তি ! যেই মূৰ্ত্তি, অন্ত দিন কক্ষে প্রবেশিতে মম, বিকাশিত প্রেমানন্দ, ললাটে, নয়নে ; হাসি রূপে সমুজ্জল করিতে অধরে , । নিঃসারিত সম্ভাষিতে,--“কই গো কোথায় প্রাচীন নীলজ (১৯) চারু ফণিনী আমার ? সেই মূৰ্ত্তি আজি দেখি গাম্ভীৰ্য্য-আধার, কঁপিল হৃদয় মম।–“ক্লিওপেট্রা ! এই (১৯) নীলজ-নীলনদীজাত ।