Sette নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । কহিলা তরল কণ্ঠে- “চন্দ্রনাথ ! पछ তুমি প্ৰভু ! হায় নাথ ! তব দরশনে দুঃখিনীর নিম্প্রদীপ প্রণয়-মন্দিরে এই ক্ষীণ আশালোক উজ্জ্বলিল আজি । প্রবাহিল আজি এই ক্ষুদ্র আশা-স্রোত চিত্ত-মরুভূমে মম ! দয়াময় ! দয়া করি, আর দুই দিন, নিৰ্ব্বাপিত প্রায় জীবন-প্রদীপ চির-দুঃখিনীর রাখ সমুজ্জল নাথ ! যেন বীরেক দুঃখিনী আপন জীবননাথে পারে দেখিবারে । না পাই প্রাণেশে যদি,—ন হয় আমার অামারু সৰ্ব্বস্ব ধন, নাহি ক্ষতি ; তবু বারেক দেখিব নাথে নয়ন ভরিয়া। দেখিব, নিরপে যথা দীন কাঙ্গালিনী রাজেজাণী শির-রত্ন—মুকুটের মণি। এই ভিক্ষণ চাহে দাসী ।” $ + নীরবিল বাম। নীরবে শেখর পানে রহিল চাহিয়া । নীরবে নয়ন হ’তে ছুই অশ্র ধারা ঈষদ আনন্দোজ্জ্বল আরক্ত কপোলে নামিতেছে ধীরে ধীরে । পড়িতেছে ধীরে মার্জিত কনক বক্ষে, কনক কমলে তরল মুকুতা রাশি ; প্রভাত শিশির মানস সরলে স্মিত-বিকচ পঙ্কজে ঝরে বিকাসিতে যথা সৱ-জুশোজিনী । নিঝৰ্ব সলিলে সিক্ত দীর্ঘ কেশরাশি,
