পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রৈবতক কাব্য। bや為> এক বেদ-মহাবিশ্ব, অনন্ত অসীম ; একই ব্রাহ্মণ তার—মানব হৃদয় ; একমাত্র মহাষজ্ঞ,-স্বধৰ্ম্মসাধন * যজ্ঞেশ্বর—নায়ু । সন্দিগ্ধ মানব । আপনার কৰ্ম্মক্ষেত্রে হও অগ্রসর দেখিয় কৰ্ত্তব্য বেথা জ্ঞানের আলোকে, বিস্তৃত সম্মুখে পুণ্য ভাগীরথী মত ; স্বদর্শন নীতিচক্র নমি ভক্তিভরে, কৰ্ম্মস্রোতে জীবতরী দেও ভাসাইয়৷ ” দেখিলাম ক্রমে ক্রমে শতদল-দল মিশাইল গ্রহে গ্রহে ; মৃণাল, ধরায় ; নীল অনন্তের সনে নীল কলেবর । মুখ-স্বপ্ন শেষে শিশু জননীর কোলে জাগিয়া,যেমতি দেখে মায়ের বদন প্ৰেমপূৰ্ণ ; দেখিলাম জাগিয়া তেমতি বন-প্রকৃতির মুখ, প্রতি-পারাবার । কি এক নবীন শোভা আলোক নবীন, কিবা এক কোমলতা, শান্তি পবিত্রত, পড়িতেছে উছলিয়া । বালক-হৃদয়, বালকের ক্ষুদ্র প্রাণ, গেল মিশাইয়া, সেই প্রকৃতির সনে ; মিশিল তুষার অনন্তু সলিলে ; গীত, ষন্ত্রের স্বতানে হইল মধুরে লয়। সমস্ত জগৎ আমার শরীর। আহা ! সমস্ত প্রাণীতে আমার হৃদয়, প্রাণ। গাইল সমীর কি যেন গভীর গীত। কহিল প্রকৃতি