পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR নানা-কথা । ( ७ ) যে লোভ অক্ষয়বাবু সংবরণ করতে পারেন নি, শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন। শাস্ত্রী মহাশয় আগাগোড়া অশাস্ত্রীয় ভাষা ব্যবহার করায়, তার অভিভাষণ এতই জলের মত সহজ হয়েছে যে, তা এক-নিশ্বাসে নিঃশেষ করা যায়। এ শ্রেণীর লেখা যে বহত নদীর জলের মতই স্বচ্ছ ও ঠাণ্ডা হওয়া উচিত, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই। জলের মত ভাষার বিশেষ গুণ এই যে, তা জ্ঞানপিপাসুদের তৃষ্ণা সহজেই নিবারণ করে। বর্ণগন্ধ চাই শুধু काराद्र ऊाषाश,-6कनन। उ| शग्न अभूङ, नश ठूझ । আমি বহুকাল হ’তে এই কথা বলে আসছি যে, বাঙলা সাহিত্য বাঙলা ভাষাতেই রচিত হওয়া উচিত । কিন্তু এই সহজ কথাটি অনেকের কাছে এতই দুর্বোধ ঠেকে যে, তারা এরূপ আজগুবি কথা শুনে বিরক্ত হন। এদের মতে, বাঙলা হচ্ছে আমাদের আটপৌরে ভাষা, তাতে সাহিত্যের ভদ্রত রক্ষা হয় না ; সুতরাং সাহিত্যের জন্য সাধুভাষা নামক একটি পোষাকী। ভাষা তৈরি করা চাই। পোষাক যখন চাই-ই, তখন তা যত ভারি। আর যত জমকালো হয়, ততই ভাল। তাই সাহিত্যিকরা ংস্কৃত ভাষার চাের-জরিতে কিংখাব বুনতে এতই ব্যগ্র ও এতই ব্যস্ত যে, সে জরি সাচ্চ কি বুটা, তা দিয়ে তঁরা কিংখাব দূরে থাক দোসুতিও বুনতে পারেন কি না,-পারলেও সে বুনানিতে ঐ জরি খাপ খায় কি না,-এ সব বিচার করবার তঁাদের সময় নেই। সুতরাং বাঙলা লিখতে বললে তঁরা মনে করেন যে, আমরা তঁদের কাব্যের বস্ত্ৰহরণ করতে উদ্যত হয়েছি। কিন্তু আমরা যে ওরূপ কোনও গৰ্হিত আচরণ করতে