পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান বঙ্গ-সাহিত্য । २७७ অনুরূপ দেহ দিতে হলে, শব্দজ্ঞান থাকা চাই, ছন্দমিলের কাণ থাকা চাই। এ জ্ঞান লাভ করবার জন্য সাধনা চাই, কেননা সাধনা ব্যতীত কোন আর্টে কৃতিত্ব লাভ করা যায় না। নবকবিরা যে, সে সাধনা করে থাকেন, তার কারণ এ ধারণা তঁদের হৃদয়ঙ্গম হয়েছে যে, লেখা জিনিষটে একটা আট। নবীন কবিদের রচনার সহিত হেমচন্দ্রের কবিতাবলী কিম্বা নবীনচন্দ্রের “অবকাশরঞ্জনী”র তুলনা করলে, নবযুগের কবিতা পূৰ্বযুগের কবিতার অপেক্ষা আর্ট-অংশে যে কত শ্রেষ্ঠ, তা স্পষ্টই প্রতীয়মান হবে। শব্দের সম্পদে এবং সৌন্দর্ঘ্যে, গঠনের সৌষ্ঠবে এবং সুষমায়, ছন্দে SDBBDSDD D BBDS L0 BBB BBD DDBDBDD DDDS সানের একধাপ উপরে উঠে গেছে। এ স্থলে হয় তা পূর্বপক্ষ এই আপত্তি উথাপন করবেন যে, ভাবের অভাব থেকেই ভাষার এই সব কারিগরি জন্মলাভ করে। যে কবিতার দেহের সৌন্দৰ্য্য নেই, তার যে আত্মার ঐশ্বৰ্য আছে, এ কথা আমি স্বীকার করতে পারিনে। এলোমেলো ঢিলেঢালা ভাষার অন্তরে ভাবের দিব্যমূৰ্ত্তি দেখবার মত অন্তদৃষ্টি আমার নেই। প্রচ্ছন্নমূৰ্ত্তি ও পরিচ্ছিন্ন মূৰ্ত্তি একরূপ নয়। ভােব যে কাব্যের আত্মা, এবং ভাষা তার দেহ, একথা আমি স্বীকার করি। কিন্তু কাব্যের দেহ থেকে আত্মা পৃথক করা অসম্ভব বললেও অত্যুক্তি হয় না। কোথায় দেহের শেষ হয় এবং আত্মার সূত্রপাত হয়, সে সন্ধান কোনও দার্শনিকের জানা নেই। র্যার রসজ্ঞান আছে তার কাছে। এ সব তর্কের কোনও মূল্য নেই। কবিতা-রচনার আর্ট নবীন কবিদের অনেকটা করায়ত্ত হয়েছে, এ কথা যদি সত্য হয়, তাহলে তঁদের লজ্জা পাবার কোনও কারণ নেই। ভারতচন্দ্ৰ মালিনীর বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, “আছিল বিস্তর