পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\UGo न-९ ।। জাৰ্ম্মণীর উপর জয়লাভ করতে হলে, জাৰ্ম্মাণ মনোভাব আয়ত্ত করা ও জাৰ্ম্মাণ রীতিনীতি অবলম্বন করা যে আবশ্যক— এমন কথা। গত দু’ বৎসরের মধ্যে ইউরোপের সকল দেশেই শোনা গেছে। সুতরাং কোন কোন সংক্রামক ব্যাধিগ্ৰস্ত লোক যেমন মরবার আগে নিজের রোগ অস্ত্ৰচিকিৎসককে দান করে যান, জাৰ্ম্মণীও যে মৃত্যুর মুখে তার নৈতিক রোগ সমগ্ৰ ইউরোপকে দিয়ে যাবে, এ ভয় পাবার কারণ ছিল। কিন্তু এখন ভরসা করে বলা যেতে পারে যে, সে বিপদের ভয় কেটে গেছে। রুসিয়ার Czardom হতে মুক্তিলাভ, এবং আমেরিকার এই যুদ্ধে যোগদানই প্রমাণ যে, মানবের স্বাধীনতা যে সভ্যতার মূলমন্ত্র, সে সভ্যতার জয় অবশ্যম্ভাবী। আজ এ আশা করা অসঙ্গত হবে না যে, মানুষে তার এ যুগের পাপের, আসছে। যুগে প্ৰায়শ্চিত্ত করবে,- এবং ভবিষ্যতে পরস্পরের প্ৰতি হিংসার পরিবৰ্ত্তে পরস্পরের প্রতি মৈত্রীই হবে বিশ্বমানবের নব-সভ্যতার অটল ভিত্তি । অতঃপর মানুষে যে শান্তির জন্য লালায়িত হবে, তার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষকে মৈত্রীর ধৰ্ম্ম প্রচার করতে হবে, এবং ভবিষ্যৎ সাহিত্যের বলবীৰ্য্য এই নবধৰ্ম্মের প্রচারেই নিয়োজিত হবে । LLLL S SS এই নব সভ্যতার অংশীদার হবার অধিকারও সকল জাতিরই থাকবে, কেননা এই সভ্যতার প্রতিষ্ঠা করবার দায়িত্ব অল্পবিস্তর সকল জাতিরই ঘাড়ে পড়বে। কায়মনোবাক্যে যে জাতি এই আদর্শের সাধনা না করবে, সে জাতি বিশ্বমানবসমাজে পতিত হয়ে থাকবে,- এবং সে সাধনার প্রথম পদ হচ্ছে দেশরক্ষার জন্য মানুষের আত্মোৎসর্গ। কেননা ভবিষ্যতের এই ঈপিসত শান্ত সভ্যতা গড়ে তোেলবার জন্যে মানুষের বাহুবল