পাতা:নিশীথ-চিন্তা - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(y নিশীথ-চিন্তা। তারারু সঙ্গে তারার বিয়া জুট্ৰাইবার জন্য আবিষ্টের মত বহুক্ষণ বসিয়া থাকিতাম। কিন্তু হায়! কোথায় মাটীর ফুল, আর কোথায় মনোবুদ্ধির অগম্য নভোলিলাসিনী তারা ! শিশু ভিন্ন, এ দুইয়ের মধ্যে, কে আর সাদৃশ্য দেখিবার জন্য অধীর হয় ? পণ্ডিতেরা তারা গণনা করেন দূরবীক্ষণ লইয়া, আমি তারার শোভা দেখি শুধুই আমার প্রেমবীক্ষণের সাহায্যে। প্ৰেম বস্তুটা কি তাহা বুঝি না। তবে এই তক বুঝি যে, উহা এক প্রকারের একটা অভাবনীয় তৃষ্ণা, এবং সে তৃষ্ণ তৃপ্তিশূন্য ও জ্বালাময় হইয়াও আনন্দপ্রদ। আমার এই সাধের প্ৰেমবীক্ষণও, বোধ হয়, শিশুরই উপযোগী যন্ত্র । নহিলে, নয়ন উহার আলোক-রেখায় রঞ্জিত হইলেই, আমার প্ৰাণটা সেই শৈশবের জ্বালাময় আনন্দে অবশ হইয়া, আকাশের তারা আর উদ্যানের ফুল, এ দুইয়ের সাদৃশ্য খুঁজিবার জন্য আকুল হয় কেন ? কিন্তু উদ্যানের ফুল। সকল সময়েই । কাছে আছে । উহারে দেখিয়া সাধ মিটে । উহারে আভরণ করিয়া অঙ্গে পর, অথবা দেবের নিৰ্ম্মাল্য জ্ঞানে মাথায় রাখি, উহা সকল সময়েই তোমার । আকাশের তারা অনন্তব্যাপ্ত আকাশমণ্ডলের উৰ্দ্ধদেশে ! মানুষের কল্পনাও সেখানে পহু চিতে পারে না । আমি কেমন করিয়া সেখানে যাইয়া একটি একটি করিয়া তারা গণিব ?