পাতা:নিষ্‌কৃতিলাভপ্রয়াস.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিষ্কৃতিলাভপ্রয়াস।
৩১

সাহিত্য শাস্ত্রের অধ্যাপকের পদ শূন্য হয়। সংস্কৃত কালেজের সেক্রেটারি বাবু রসময় দত্ত মহাশয় আমায় ঐ পদে নিযুক্ত করিবেন, স্থির করিয়াছিলেন[১]। আমি, বিশিষ্ট হেতু বশতঃ, অধ্যাপকের পদগ্রহণে অসম্মত হইয়া, মদনমোহন তর্কালঙ্কারকে নিযুক্ত করিবার নিমিত্ত, সবিশেষ অনুরোধ করি[২]। তদনুসারে, মদনমোহন তর্কালঙ্কার ঐ পদে নিযুক্ত হয়েন। এই প্রকৃত বৃত্তান্তটির সহিত, যোগেন্দ্রনাথ বাবুর কল্পিত গল্পটির, বিলক্ষণ সৌসাদৃশ্য দৃশ্যমান হইতেছে।”

 আমি তর্কালঙ্কারের সংস্রবত্যাগে কৃতপ্রতিজ্ঞ হইলে, তিনি পটোলডাঙ্গার শ্যামাচরণ বাবুকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার কিয়ৎ অংশ উদ্ধৃত হইতেছে। এই উদ্ধৃত অংশ দৃষ্টিগোচর করিলে, আমি ও তর্কালঙ্কার, এ উভয়ের চাকরী বিষয়ে পরস্পর কিরূপ সম্পর্ক, তাহা অনায়াসে যোগেন্দ্রনাথ বাবুর হৃদয়ঙ্গম হইতে পারিবেক।

 “ভ্রাতঃ! ক্রমশঃ পদোন্নতি ও এই ডেপুটি মাজিষ্ট্রেটী পদপ্রাপ্তি যে কিছু বল, সকলি বিদ্যাসাগরের সহায়তা বলে হইয়াছে, অতএব তিনি যদি আমার প্রতি এত বিরূপ ও বিরক্ত হইলেন তবে আর আমার এই চাকরি করায় কাজ নাই, আমার এখনি ইহাতে ইস্তাফা দিয়া, তাঁহার নিকট
  1. এই সময়ে, আমি সংস্কৃত কালেজে আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারির পদে নিযুক্ত ছিলাম।
  2. এই সময়ে মদনমোহন তর্কালঙ্কার কৃষ্ণনগর কালেজে প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত ছিলেন।