পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য্য। W26: ASA SSASAS A SAS SSAS جمعیت খানে সহিষ্ণুতা ; ক্ষমার চতুর্দিকে সহিষ্ণুড়ার বাঁধ, যে দিন সেই বাধ ভাঙ্গিবে, সেই দিন ক্ষমা অনন্তসাগরে বিলীন হইবে। যদি সহনু-শক্তি না থাকে, তবে অন্যকে ক্ষমা করা দূরে থাকুক, তৎকৃত অপকারেল প্রতিশোধ দিবার জন্য মন উদ্বিগ্ন হইয়া উঠে। ক্ষমাগুণের একটী মোহিনী শক্তি আছে ; সে শক্তি অপার, অনন্ত ও ঐশ্বরিক। যদি কেহ আমাদের অপকার করে, এবং আমরা শক্তিসত্ত্বেও কোনরূপ শাস্তি না দিয়া তাহাকে ক্ষমা করি, তবে সে নিজের নীচাশয়তা ও ক্ষমীর উদারতা দেখিয়া আপনাকে শত ধিক্কার দিবে এবং অনুতাপানলে দগ্ধ হইয়া চরিত্রসংশোধন করিতে প্রবৃত্ত হইবে । পাপীর চরিত্রসংশোধনের ইহা একটা প্রকৃষ্ট উপায়। দৃষ্টান্তস্থলে নিত্যানন্দ ও জগাই মাধাইর কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে। নিত্যানন্দ প্রেমিক, জগতে প্রেমশিক্ষা দেওয়াই তাহার জীবনের উদ্দেশ্য ছিল । একদা পাষণ্ড মদ্যপায়ী জগাই মাধ্যই নিত্যানন্দকে পথিমধ্যে পাইয়া গুরুতররূপে আঘাত করে । দয়াল নিত্যানন্দ সেই আঘাতের “তাশ্চর্যা প্রতিঘাত’ করিলেন । তিনি আহত হইয়া বলিলেন, “ভাই জগাই, মাধাই ! আমাকে আহত করিয়াছ, ভালই হইয়াছে ; এখন উভয়ে হরিবলে নাচ।” নিত্যানন্দের সেই আশ্চৰ্য্য উদারতা দেখিয়া, পাষণ্ডদ্বয়ের হৃদয় গলিয়া গেল । তাহারা নিত্যানন্দের চরণে ধরিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিল এবং সেই অবধি হরিভক্ত বৈষ্ণব সাজিয়া হরিগুণ গান করিতে করিতে জীবনের অবশিষ্টসময় . অতিবাহিত করিল। কঠোরতম শাস্তি দ্বারাও যাহা সাধিত (*