পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WoW3 নীতি-সন্দর্ভ। হইত না, একমাত্র ক্ষমাপ্রদর্শনে তাহ অনায়াসে সুসিদ্ধ হইল । ক্ষমাগুণ মানুষকে দেবতুল্য করে। যিনি এই গুণের বশীভূত, জগৎ তাহার বশীভূত। ইতিহাসের আলোচনা করিলেই জানা যায়, যে সকল ধৰ্ম্মবীর অবতীর্ণ হইয়৷ এই পৃথিবী পবিত্র করিয়া গিয়াছেন, তাহাদের প্রত্যেকের মধ্যেই ক্ষমাগুণ অতিমাত্রায় বিদ্যমান ছিল। মহাভারত পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ভৃগুমুনি ক্রোধপরবশ হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণের বক্ষে পদাঘাত করেন, তিতিক্ষু কৃষ্ণ পদাহত হইয়াও মুনিকে বলিলেন,—“মহাত্মন, আমার কঠোরবক্ষে আঘাত করিয়া আপনার শ্রীচরণই ব্যথিত হইয়াছে, অতএব অপরাধ ক্ষমা করিবেন।” পুরোহিতগণ হিরণ্যকশিপু কর্তৃক আদিষ্ট হইয়া ভক্তপ্রবর স্থিরমতি প্ৰহলাদের বিনাশসাধনের জন্য অভিচার-ক্রিয়া আরম্ভ করেন, কিন্তু ‘অভিচার তৎপরিবর্তে পুরোহিতগণেরই বিনাশসাধন করে। প্ৰহলাদ তখন শত্রুনাশ হইয়াছে ভাবিয়া কিছুমাত্র সস্তুষ্ট না হইয়া, সেই সকল পুরোহিন্তের জন্য জগদগুরু বিষ্ণুকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিলেন ; ব্রাহ্মণগণকে দুঃসহ মন্ত্রাগ্নি হইতে রক্ষা করিবার জন্য জনাৰ্দ্দনের স্তুতি আরস্ত করিলেন। সাধু হরিদাস মুসলমানধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া যখন হিন্দু হইলেন, তখন মুসলমান কাজি মুলুকপতি, তাহাকে বাজারে বাজারে ঘুরাইয়া বেত্রাঘাতে প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলেন। এই কঠোর আদেশের ভয়ে হরিদাস হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করবেন, ইহাই কাজির ধারণা ছিল, এবং এই ধারণাবলে মুলুকপতির মন্ত্রী