পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১৯

ভারতীয়গণের অর্থই ব্যয় করা হইত। বার্ম্মায় ভারতীয়গণের নিকট হইতে কিছুদিনের মধ্যে ৮ কোটি টাকা সংগৃহীত হইয়াছিল। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারী মাসে নব-বৎসরের উপহার হিসাবে ভারতকে মালয় ৪০ লক্ষ টাকা দান করিয়াছিল। আজাদ-হিন্দ ফৌজ নিজ প্রয়োজনের জন্য যাবতীয় অস্ত্রপাতি গোলাবারুদ নিজ অর্থ দিয়াই ক্রয় করিত।

 আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ ছিল একটি রাষ্ট্রিক প্রতিষ্ঠান। সুতরাং ইহাকে সমাজ-সেবার গুরু দায়িত্বভারও গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। যুদ্ধ-পীড়িতদের সাহায্যকল্পে ইহার ভাণ্ডার হইতে অজস্র অর্থ ব্যয় করা হইত। মালয়ের শ্রমিকগণ এক সময় চরম দুর্দ্দশায় পড়িয়াছিল; উক্ত সঙ্ঘ তখন মজুরদিগের জন্য চিকিৎসালয়, ডাক্তার, ঔষধ, পথ্য, খাদ্য প্রভৃতি ব্যাপারে প্রচুর অর্থব্যয় করিয়াছে

 কুয়ালালামপুরে ছিল সর্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ সাহায্য-কেন্দ্র। এখানে প্রত্যহ এক হাজারের উপর, নারী, শিশু ও দুর্গতজনকে নানাবিধ সাহায্য দেওয়া হইত। ইহার মাসিক খরচ ছিল ৭৫ হাজার ডলার।

 এই সঙ্ঘ বার্ম্মাতে অনেকগুলি দাতব্য চিকিৎসালয় চালাইত, শ্যামেও একটি আধুনিক ধরণের উচ্চাঙ্গের হাসপাতাল খুলিয়াছিল; তা ছাড়া, দুর্গত ভারতীয়গণের বসতি স্থাপনের জন্য উক্ত সঙঘ ভূমি-সংগঠনের কার্য্যও গ্রহণ করিয়াছিল। বিশেষ করিয়া মালয়ের জঙ্গল অপসারিত করিয়া প্রায় ২০০০ হাজার একর জমি বাসোপযোগী করা হইয়াছে।