পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 প্রকৃতির এই দুর্য্যোগময়ী অবস্থায় আক্রমণ পরিহার করা হইল এবং আক্রমণ পরিহারের পর সংযোগসূত্র রক্ষা করা দুরূহ হইয়া পড়িল; সুতরাং আজাদ-হিন্দ ফৌজ পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়।

 অনন্তর আজাদ-হিন্দ ফৌজ কেবল আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধে লিপ্ত থাকেন। ব্রিটিশ শক্তি যখন বার্ম্মা আক্রমণ করিল, তখন এই বাহিনীর অনেক ‘স্টাফ অফিসার’ ব্রিটিশ পক্ষে যোেগ দেন। ব্রিটিশের হস্তে মিণ্ডিলার পতন হইলে যখন পরিষ্কার বোঝা গেল যে, জাপানীরা ব্রিটিশ অগ্রসরকে আর বেশীদিন ঠেকাইতে পারিবে না, তখন রেঙ্গুণ পরিত্যাগের পরিকল্পনা করা হইল।

 ১৯৪৫ সালে ২৩শে এপ্রিল জাপানী প্রধান সেনাপতি ও বার্ম্মা-গভর্ণমেণ্ট রেঙ্গুণ ত্যাগ করিল। তাহাদের সহিত একত্রে বেঙ্গুণ ত্যাগ করিতে সুভাষচন্দ্রের অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট অস্বীকার করিয়াছিলেন।

 এই সময় সর্ব্বাধিনায়ক শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ-হিন্দ ফৌজের প্রতি তাঁহার শেষ নির্দ্দেশনামা প্রচার করেন! উহা নিম্নরূপ—

আজাদ-হিন্দ ফৌজের অফিসার ও সৈন্যদের প্রতি—

১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস হইতে আপনারা যেখানে বীরোচিত সংগ্রাম চালাইয়াছেন এবং এখনও চালাইতেছেন, আজ গভীর বেদনার সহিত আমি সেই