পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৩৫

কংগ্রেস-কর্ম্মী অতিজন-ভোট কিংবা বিনা বাধায় কাউন্সিলের সদস্য নির্ব্বাচিত হন।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে সুভাষচন্দ্র দক্ষিণ কলিকাতায় একটি শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন। এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল—নিখিল-ভারতীয় রাজনীতিক লাঞ্ছিতগণের দিবস উপলক্ষে রাজনীতিক কারণে লাঞ্ছনাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের প্রতি সহানুভূতি-জ্ঞাপন। এই শোভাযাত্রা পরিচালনার জন্য ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে তিনি অভিযুক্ত হন এবং বিচারে ২৩শে জানুয়ারী তারিখে তাঁহার প্রতি নয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে লাহোর-ষড়ষন্ত্র মামলার আসামী যতীন্দ্রনাথ দাস লাহোর সেণ্ট্রাল জেলে অনশনব্রত গ্রহণ করেন এবং ৬৩ দিন উপবাসের পর ইচ্ছামৃত্যু যতীন দাসের অমর আত্মা নশ্বর দেহ ত্যাগ করিয়া স্বর্ণরথে অমরলোকে প্রস্থান করে। যতীন দাসের শবদেহ কলিকাতায় আনা হইল, সুভাষচন্দ্র শবানুগমনের বিরাট্ শোভাযাত্রা পরিচালনা করিয়া মৃত্যুঞ্জয়ী বীরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করিলেন।

 উক্ত সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি হাওড়া পলিটিক্যাল কন্‌ফারেন্সে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে পাঞ্জাব স্টুডেণ্টস্ কন্‌ফারেন্সের মাহোর-অধিবেশনে সভাপতিরূপে তিনি যে অভিভাষণ প্রদান করেন, তাহাতে তিনি দেশের যুবকগণের