পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

তাঁহাকে বরণ করিতে প্রতিশ্রুত হয়। এই সৈন্যদল ভারতবর্ষ হইতে ইংরাজদিগকে তাড়াইয়া দিবার জন্য প্রস্তুত হইয়াছিল।”[১]

 বােম্বাইয়ের ভূতপূর্ব্ব মেয়র মিঃ ইউসুফ মেহেরালি বলিয়াছিলেন,—

 “যখন দেশে ব্যক্তিগত আইন-অমান্য়-আন্দোলন চলিতেছিল, তখন সমগ্র দেশ হঠাৎ এই সংবাদে চমকিত হইয়া উঠিল যে, সুভাষ অন্তর্হিত হইয়াছেন। কেহই জানে না যে তিনি কোথায় আছেন! কেহ কেহ বলেন যে, তিনি সংসারাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া হিমালয়ে সন্ন্যাসাশ্রমে আছেন—যৌবনের প্রারম্ভেও তিনি একবার অনুরূপ কার্য্য করিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন যে, তিনি পাতালে গমন করিয়াছেন! আবার কাহারও মত,—তিনি কোন বৈদেশিক রাজ্যে পলায়ন করিয়াছেন! সুভাষ কোথায়? জনরব তাঁহাকে একই সময়ে কলিকাতা, রেঙ্গুণ, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, মস্কো, বার্লিণ, রোম, টোকিও প্রভৃতি স্থানে অবস্থিতি করিতেছেন বলিয়া প্রকাশ করিল।”

 রয়টার এইসঙ্গে কিছু যােগ করিয়া বলিয়াছিলেন যে, সুভাষচন্দ্র জার্ম্মাণীতে যাইয়া হিট্‌লারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়াছেন! হিট্‌লার তখন সুভাষকে ‘ফুরার অব্ ইণ্ডিয়া’ (‘Fuhrer of India’) নামে সম্বোধন করিয়াছিলেন। পরে জানা গিয়াছে যে, সুভাষ ভারতীয় জাতীয় বাহিনী গঠন করিয়া তাহার সর্ব্বাধ্যক্ষ-রূপে স্বাধীন ভারতে প্রবেশ করিবেন।

  1. “In 1942, he was reported broadcasting from Berlin and later in that year, he appeared in Tokyo, when the Japanese promise to put him at the head of the Army of Indians ready to march back into India and drive the British out.”—Ibid, P. 442'g).