পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৯৫

ধরগণ “রাণাজু” এই উপাধিতে ভূষিত হইলেন। এই চক্রান্তের পর লক্ষ্মী দেবী তাঁহার পুত্রদ্বয় সমভিব্যাহারে কাশীতে চিরনির্ব্বাসিত হইলেন। মহারাণীর প্ররোচনায় মহারাজাধিরাজও তাঁহার সঙ্গী হইলেন। এবং কিছুকাল কাশীধামে বাস করিয়া অনেক চক্রান্ত করিলেন। অবশেষে একদল বিদ্রোহীদলের সহিত যোগ দিয়া নেপালে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু অচিরে পরাস্থ এবং বন্দী হইয়া কাটমণ্ডুতে নীত হন। তাঁহার অনুপস্থিতে সুরেন্দ্র বিক্রম সাহ সর্ব্বসম্মতিক্রমে নেপালের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। রাজেন্দ্র বিক্রম সাহ এক প্রকার বন্দী অবস্থায় জীবনের অবশিষ্ট দিন ভাটগাঁওএর রাজপ্রাসাদে যাপন করিয়াছিলেন। জঙ্গ বাহাদুরের সহায়তায় সুরেন্দ্র বিক্রম সাহ সিংহাসনারোহণ করিলেন এবং জঙ্গ বাহাদুর দ্বারাই নেপালের রাজবংশের ক্ষমতা চিরদিনের মত খর্ব্বীকৃত হইল। তখন হইতে রাজার ক্ষমতা লোপ পাইয়া মন্ত্রীর প্রাধান্য প্রবর্ত্তিত হইল। সেই সময় হইতেই নেপালের রাজমন্ত্রীই নেপালরাজ্যের একমাত্র হর্ত্তা কর্ত্তা বিধাতা হইলেন।

 রাজাধিরাজ সুরেন্দ্র বিক্রম সাহ এই প্রকার ভাবে রাজত্ব করিতে ইচ্ছুক ছিলেন না এবং একবার সিংহাসন ত্যাগ করিবার ইচ্ছাও করিয়াছিলেন। ১৮৪৭ খৃঃ সুরেন্দ্র বিক্রমের জ্যেষ্ঠপুত্র জন্মগ্রহন করেন। ১৮৫১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহারাজাধিরাজের আর একটী পুত্র জন্মগ্রহণ করিল। ১৮৪৮ খৃঃ ইংরাজগণ দ্বিতীয় শিখ যুদ্ধে লিপ্ত হইলেন। তখন জঙ্গ বাহাদুর একদল গোর্খা