পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরুদ্দিষ্ট । তখন সন্ধ্যার মানিমা একটু একটু করিয়া ঘনাইয়া আসিতেছিল। মাঠের গরুগুলা রাস্তার ধূলা আকাশ পৰ্যন্ত উড়াইয়া সবে মাত্র গ্রামে প্ৰবেশ করিয়াছে। তখনও দুই চারিজন কৃষক ধানের প্রকাণ্ড বোঝা মাথায় লইয়া বাড়ী ফিরিতেছে। - মাঠের পাখী"ণ্ডলা কেমন একটা মিশ্রিত কলরব করিতে করিতে দুই একটা করিয়া মাঠের ধানের গাদা হইতে উড়িয়া যাইতেছিল। ধানের আটগুলি নগ্নমাঠের স্থানে স্থানে থাকিয়া তখনও তাহার। পূৰ্ব্বসৌন্দর্ঘ্যের সাক্ষ্যপ্ৰদান করিতেছিল। ছয় বৎসর প্ৰবাসবাসের পরে বাড়ী ফিরিতেছিলাম। সেই সময়ে আমার মনের ভাব কিরূপ হইতেছিল, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। যেন কতকাল দেশ ছাড়িয়া, বাল্যবন্ধুগণকে ছাড়িয়া, আত্মীয়-স্বজন ছাড়িয়া কেমন একটা নিৰ্জনতার মধ্যে সঙ্গীশূন্য অবস্থায় এই সুদীর্ঘ ছয়টি বৎসর কাটাইয়া আসিয়াছি ; আজ আবার সেই চিরপরিচিত জন্মভূমিকে দেখিয়া, সোন্দরসম বাল্যবন্ধুগণের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যে, কি অপূৰ্ব আনন্দের স্রোতে আপনাকে ভাসাইয়া দিব, সেই চিন্তায়, সেই আশায়, সেই উৎসাহে যেন আমার পথশ্ৰান্ত পদযুগল আমাকে দ্রুততরবেগে লইয়া যাইতে লাগিল। চিরপরিচিত পুরাতন জিনিসগুলি যেন নূতন বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। রাস্তার পাশের সেই উচু ঢিবিটা, যেখানে ঘসিয়া কতদিন নগেন ‘ফুলট” বাজাইয়াছে, অতুল কত গান গাহিয়াছে, 9