পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ककbs । WANA **** Ahymyr-VM মনন্দ মন্দ বয় মলয় পবন दाफुॉरेऊ ७धूं शशि-प्रश्न কোকিল-কুজন যাতনা কারণ, কেন লো তাদের সাথে নিয়ে যাও ?” সঙ্গীত সমাপ্ত হইলে রবীন্দ্ৰনাথ সঙ্গীতকারিণীর অনুসন্ধানে ব্যস্ত হইলেন। মনে নানারূপ চিন্তা ! এই নীরব নিশীথে, জনশূন্য অরণ্যমধ্যে কে এই সুধাকণ্ঠী রমণী । রবীন্দ্ৰনাথ সেই ভগ্ন অট্টালিকার চতুর্দিক পরিভ্রমণ করিয়া একদিকের, ইষ্টকস্তুপের পার্থে একটী ভগ্নাবশেষ দ্বারা দেখিতে পাইলেন। তিনি সেই দ্বারের দিকে অগ্রসর হইলেন । প্ৰথমে সেই ভগ্নীদ্বারা দিয়া প্ৰবেশ করিতে র্তাহার বড় ভয় হইতে লাগিল। একবার অগ্রসর হন, আবার প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। মনে ভাবিলেন, এই স্থান নিশ্চয়ই দক্স্যদিগের আডিডা ( একবার প্রতারণা করিয়া দন্ত্র্যহস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিয়াছেন, পুনরায় তাহদের হস্তে পতিত হইলে মৃত্যু অনিবাৰ্য্য। রবীন্দ্রনাথ! এই সাহস লইয়া তুমি দাস্যহস্ত হইতে দুইটী হতভাগিনী রমণীর উদ্ধার করিবার জন্য অগ্রসর হইয়াছ ? ভৈরবীর উপদেশ বিস্মৃতি হইয়া আজ নশ্বর জীবনের মমতায় স্বীয় কৰ্ত্তব্যপথ হ’তে প্ৰত্যাবর্তন করিতে সচেষ্ট হইয়াহু ? সংসার-অনাসক্ত সন্ন্যাসীর কি এই কৰ্ত্তব্য ? অগ্রসর হও রবীন্দ্ৰনাথ ; নশ্বর জীবনের মমতায় নিজের কৰ্ত্তব্য জলাঞ্জলি দিও না। তুমি কি জান না-জন্ম হইলে মৃত্যু অনিবাৰ্য্য ? একদিন কি মরিতে হুইবে না ? বিবেকের এবস্তপ্রকার উৎসাহ-বচনে রবীন্দ্ৰনাথ অবশেষে সাহসে ভর করিয়া সেই ভগ্নদ্বারা দিয়া জীর্ণ অট্টালিকার মধ্যে প্ৰবেশ, করিলেন। or