পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা লেখানে। আজকাল একটী মস্ত বেয়ারাম হইয়া উঠিয়াছে ধ্ৰুক গ্রন্থ যেমনই হ’ক, গ্রন্থের ভিতর যতই রাব্বিশ (ಸ್ಟಃ থাকুক, গ্ৰন্থকারগণ সাহি তাক্ষেত্রে সুপরিচিত কোন বা ’র দ্বারা একটা ভূমিকা লেখাইয়া লইতে পারিলেই কৃতাৰ্থ বোধ করিয়া থাকেন !—কিন্তু কেন ? জাতীয় ভাষা। একজনের দ্বারা পুষ্টিলাভ করে না, প্রত্যেক সাহিতসেবীর হৃদয়রাব্রুে উহা পরিপুষ্ট হইয়া থাকে। দেবী শ্বেতাঙ্গিনীর শ্ৰীপাদপদ্মে ভক্তি-পুষ্পাঞ্জলি দানের অধিকার সকলেরই আছে ; ভাষা-লক্ষম। ভক্তের পূত অর্ঘ যে স্বৰ্ণপাত্রে ভিন্ন গ্ৰহণ করেন না -এমন ত, নহে ! পঞ্চপল্লবের লেখক শ্ৰীমান পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়। ভারতীর একনিষ্ঠ সাধক, সুকবি, ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার, অথচ তিনি ভূমিকা লিখিবার ভার আমার ন্যায় অযোগ্যের উপর ন্যস্ত করিয়ােছন; কিন্তু ভূমিকায় লিখিবার আছে কি ? বঙ্গদেশ হইতে স্বgদূরে - সুদূর লক্ষ্মেী নগরীর নিভৃত কক্ষে বসিয়া যিনি বঙ্গবাণীর নেবা করিয়া থাকেন, মেসোপটেমিয়ার রণক্ষেত্রে গমন করিয়াও যিনি সাহিত্য সাধনায় বিরত হয়েন নাই, তাহার সম্বন্ধে অধিক বলা নিম্প্রয়োজন বলিয়াই মনে করি। তারপর