পাতা:পদ্মপুরাণ - বিজয় গুপ্ত.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যত যত বাধা পড়ে কেহ নাহি মানে। উজামীতে চলে লখাই হরষিত মনে ॥ মায়ের আবাস ছাড়ি লক্ষ্মীন্দর বীর। আথেবাথে হইলেন পুরীর বাহির । ঘোড়ার পৃষ্ঠে চড়ে লখাই পক্ষী যেন উড়ে। লাফ দিয়া সদাগর হস্তীর পৃষ্ঠে চড়ে ৷ মায়ের ঘর হইতে উজানীতে যায়। দ্বারে থাকিয়া সোনা এক দৃষ্টি চায়। দুই পাশে নগরের লোক উৰ্দ্ধমুখে ধায়। লখাইর সংহতি তারা উজানীতে যায় ৷ গঙ্গাতীরের উত্তরে উজানীর সীম । তাহা হইতে সাহের বাড়ী উত্তর পশ্চিম | সাহের নগরে লখাই যায় সেই পথে । চারি দণ্ড লাগে মাত্ৰ উজানীতে যাইতে ॥ ধবল নামেতে নদী গাঙ্গরীর ডাল । পার হয়ে যেতে হয় এই সে জঞ্জাল ৷ জালুয়া ডোমের নারী আছে তার তরে। দুই শত নৌকা দিয়া লোক পার করে। দেখিতে সুন্দর দেশ অতি অনুপম । তাহাতে বসতি করে হরি সাধু নাম ॥ যত সাধু সদাগর তাহাতে বসতি । মুল্লাহ্মণ সজ্জন বসে ভিন্ন নানাজাতি ৷ তাহার মণ্ডল আছে হরি সাধু নাম । দেখিতে সুন্দর বড় গুণে অনুপম ৷ বিয়ার বেশে লখাইর মাথায় ধরে ছাতি । তাহা দেখি হরি সাধুর স্থির নহে মতি ৷ সগর মণ্ডল সাধু বিবাদে টনক । শিঙ্গায় ফু দিয়া সাজায় আপন কটক ॥ কেহ বলে ধর ধর কেহ বলে কাট । চৌদিক চাপিয়া উঠি হস্তী ঘোড়ার ঠাট । গন্দর তরে কহে সাধু দুঃখ লাগে বৈরী ! সংবাদ পড়িল গাইন বলরে লাঢ়ারি ॥ भनमाभन्नछ । >r এ কোন চাতুরী ভাইরে। ( ধুয়া ) / হরি সাধু বড় জন ধনে নহে হীন । , দ্বারেতে পাইক আছে লাখ দুই তিন৷৷ হস্তীতে চড়িয়া যায় চান্দ সদাগর । হয় হস্তী কত আছে চান্দর নগর ॥ হস্তী ঘোড়ায় সাজিয়া চলিছ সদাগর । তুমি হেন কত আছে আমার নগর। মোরে না সম্ভাষিয়া কোথা যাও ভাইয়া । সকল কটকে মিলি ঝাটে দেও গুয়া ৷ ঘোড়ায় চড়িয়া হরি ফেরে চারিভিতে । তর্জে গৰ্জে সদাগর খাণ্ডা লইয়া হাতে ৷ ” নগর মণ্ডল আমি হরি সাধু নাম। আমার নগর দিয়া যাও বড় অনুপম ৷ অহঙ্কারে যে জন আসে মোর দেখে । * * অহঙ্কার ভাঙ্গি তার অপমান পায় শেষে। তোমার মায় আমার মায় সহোদরা দুইজন তেকারণ গৌরব রাখিছি। এতক্ষণ ৷ সম্বন্ধে হও তুমি মাস্তুত ভাই । আমারে না বোলাইয়া যাও ভাঙ্গিব বড়াই । কোপে জ্বলে হরি সাধু জ্বলন্ত অঙ্গার ; দুই আঁখি জ্বলে যেন আকাশের তার ॥ কোপ মনে সদাগর এক দুষ্ট চায়। মনসার চরণে বৈদ্য বিজয় গুপ্ত গায় ॥ মার মার করে চান্দ বড় ভয়ঙ্কর । , দেখিয়া মণ্ডল সবে দিতে চাহে লড় ৷ { সোমাই পণ্ডিত বলে সুন সদাগর । আমার বচন সাধু অবধান কর ॥ যাত্রাকালে হুড়াহুড়ি কোন কাৰ্য্য নাই । গুয়া দিয়া তোষ মণ্ডল শুভ কাৰ্য্যে যাই ৷ চান্দ বলে মণ্ডল যদি খাও গুয়া পান। ' , মোর আগে কহ তুমি গুয়ার ব্যাখান ৷