পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিমত সেই বােপকে বাতিল করে ডিঙ্গিয়ে গিয়ে হঠাৎ তাকে দরুদ দেখানোটা কাটা ঘায়ে ননের ছিটার মত লেগেছে অনিলের । তবে দরদটা ফাঁকা কথা নয় । কয়েকমাসের মধ্যে চন্দ্রনাথ তাকে ভাল চাকরি জটিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । রাগটা অনিল সামলে যেতেও পারে। উমা তাকে ধাতস্থ করার আশাতেই সহজভাবে বলে, একটা বসন না ? আলাপ ध२न् 29 চন্দ্রনাথও খাঁশি হয়ে উৎসাহের সঙ্গে বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ, বসেই যাও একটু। আমার কাছে আত্যীয়-বন্ধ বড় নয়, মানষে হওয়া চাই ৷ প্ৰাণের কথাই বলছি, প্রমোদ বিরক্ত করে কিন্ত তামি এলে আমি খাব খাশিই হব। তার সপোনাহ আমন্ত্রণের জবাবে অনিল বিনয়ের সঙ্গে প্রশন করে, আপনি কি নেশা করেন ? মদ না গাঁজা ? বলে কোনদিকে না তাকিয়ে ধীরে ধীরে সে চলে যায়। হরিপ্রসন্ন ওঘরে গিয়েছিল অনিলের জন্য একটু খাবার আনাবার ব্যবস্থা করতে । বাড়িতে মানষি এলে মিষ্টি মািখ করানোর পাট আজকাল একরকম উঠে গেছে। নিয়মটা যেন সবসম্পমতিক্রমেই বাতিল হয়ে গেছে ; সাধ্যে না কুলোলে উপায় কি ! তবে অনিলের জন্য সামান্য মিটিই আনবে ভেবেছিল হরপ্রসন্ন । ঘর থেকে অনিলকে বেরিয়ে যেতে দেখে তাড়াতাড়ি গেঞ্জিটা গায়ে চাপিয়ে সে অনিলের নাগাল ধতে ছোটে । ছাপায় বছর বয়স। অম্বল আর বাতের রোগী। অনিল মোটে মিনিট খানেকের পথ এগিয়ে গিয়ে থাকলেও নাগাল ধরতে তার হাঁপ ধরে যায় । ল্যাম্পপপেস্টটা চেপে ধরে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, কি হল বাবা ? চলে যােচ্ছ কেন ? অ্যান্দিন বাদে যদি दा श्वाएझाङ °ा प्रळ--- অনিল চমৎকৃত হয়ে বলে, আপনি আমায় চেনেন নাকি ? আগে এসেছি আপনাদের दgऊ ! ঃ বাড়িতে আসনি, তাই বলে চিনিব না তোমাকে ? প্রমোদের সাথে আমার কত কালের পরিচয় । অনিল আশ্চর্য হয় না । কলকাতায় কত মানষের মধ্যেই যে এরকম পরিচয় আছে। অফিসে মাঠে পথে ঘাটে সারাজীবন ধরে দেখা হয়েছে প্রতিদিন অথচ একে অপরের বাড়ি চেনে না, পরিবারকে জানে না। যত দীঘ সময় ধরেই ঘটে চলক, বাইরের জগতের জানা-শোনাটুক ও নিদিষ্ট সীমা পেরিয়ে এগোয় না। ৪ অপনি বাবার অফিসে কাজ করতেন ? ঃ না । অন্য সত্রে পরিচয় । প্রমোদের রেস খেলার বাতিক আছে । হয়তো ঘোড় দৌড়ের মাঠেই দ’জনের পরিচয় ।