বিনয় একটু ভেবে বলে, বাড়ির লোকের কথা ভেবেছ ? বাকল বলে, ভেবেছি বৈকি। দাদার খাঁশির সীমা থাকবে না-বাবা একটু খাত খাত করলেও বাধা দেবে না। মা সোজা ঠাকর ঘরে গিয়ে দরজা দিয়ে চুপি চুপি কাঁদবে-কিহু, বলবে না। চোঁচামেচি হৈ-চৈ জড়ে দেবে ঠাকমা, পিসীমা আর বড়দি । একটু মন্মান দেখায় বকলের মােখ। ঃ দিদিই লাফাবে সবচেয়ে বেশী-কি করবে। ভাবতেও পারছি না ! হৈচৈ কান্ড করে শবশরিবাড়ি চলে যাবে-আর কোন দিন আসবে কিনা কে জানে ! বিনয় ভাবে, কতকাল কেটে গেছে বিদ্যাসাগরের লড়াই আর জয়ের পর । কত বাড়ির বন্ধ অন্তঃপরে এই সব পচা বিকার আজও জাকিয়ে রয়েছে । একদিকে কোথায় এগিয়েছে এদেশের মানষ ---বিকার ঝেড়ে ফেলে বিজ্ঞানকে বরণ করে নিয়ে, অন্যদিকে কত পিছনে কী অন্ধকারে রয়ে গেছে। এদেশেরই মানষে! বকদলের মনের বাধা কি সম্পণে কেটে গেছে ? সবটা কেটে যায়নি, এখনো খতিখ:তনি আছে; ছেলেবেলা থেকে পোষণ করা সংস্কার একেবারে মরে না । কিন্ত বিনয় বািকতে পারে যে যতটুক পরিবতন সে ঘটাতে পেরেছে বকদলের মনের ভাবে তার ফলে এটুক, এখন আশা করা চলে যে তার সঙ্গে সামাজিক ভাবে সমৰ্থিত মিলনের কথা ভেবে একটা নৈতিক অপরাধ করার অস্বস্তি আর জাগবে না। বকলের মধ্যে । এখন সে যদি তাকে চায়, নিজন পরিবেশে খানিকটা আবেশ বিহবলতা সন্টি করে সোজাসাজি চায়-- পাপ-পণ্যের হিসাব নিরে একটু খােতখতিনি বজায় থাকলেও বকল খাঁশি মনেই * { } ওভাবে অবশ্য বিকলকে সে কামনা করে না । তার নিজের মনটাও কি বদলে যায়নি এতদিন বিকালের মন জয় করার অভিযান চালিয়ে এসে ! বকালের যেটক দ্বিধাবোধ এখনও বজায় আছে সেজন্য বিনয় তাই চিন্তা করে না । এখন যেটক অস্বস্থিত সে বোধ করছে— দদু’দিনে সেন্টক কেটে যাবে, বিয়োটা চকে যাবার পর । বকলের এই মানসিক পরিবর্তনের জন্য বিনয় কান্তার কাছে ক্লন্তজ্ঞতা বোধ করে। কতদিন ধরে কত ধৈয্যের সঙ্গে কান্ত তাকে বঝিয়েছে জীবনের রীতি-নীতি উচিত। অনাচিতের ব্যাপার। কাস্তার সাহায্য না পেলে বকলের কলপ আটা বন্ধ মনের অন্ধ সংস্কারের পচা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে তাজা বাতাস এনে দেওয়া কঠিন হত তার পক্ষে । কিছকাল আগেও বিকােল মনে প্রাণে বিশ্ববাস করত যে জন্ম-জন্মান্তরে মেয়েদের একজন দেবতাকেই দেহ-মন সমপণ করে জীবন কাটাতে হয় । তার এই বিশ্ববাসের কাছে কোন ব্যক্তিতকাই টি কত না। Φδ