পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| t ) সরোবিলাসিনী ফুল্ল কমলিনী প্রভৃতির বর্ণনাতেও উৎকৃষ্ট কবির মনোহারিত্ন স্বজন করিতে পারেন। এই মনোহারিত্বও সেই প্রকারের নহে। যদি কোন প্রতিভাশালী চিত্রকর বিষাদের প্রতিমূৰ্ত্তি আঁকিয়া তুলিতে সমর্থ হইতেন, এবং সেই মূৰ্ত্তিতে আতঙ্কও আশা এই উভয়ের বিরোধ এবং শোকের মলিনতা ভালরূপে ফলাইতে পারিতেন, তবে তাহাকেই ইস্থার উপমাস্থল বলিয়া নির্দেশ করিতাম। পড়বার সময় প্রতীতি হয়, যেন প্রকৃতি আপনি আসিয়া আজন্মদুঃখিনী বঙ্গভূমির দুঃখে করুণকণ্ঠে বিলাপ করিতেছেন, আর সমস্ত সংসার ভয়ে, বিস্ময়ে এবং শোকভরে স্তম্ভিত হইয়া অনন্তমনে ও অনন্তকর্ণে সেই বিলাপ শ্রবণ করিতেছে। দিগন্তব্যাপী অন্ধকারের বর্ণনায় এই অংশে একটি আশ্চৰ্য্য পংক্তি কবির লেখনী হইতে হঠাৎ স্বলিত হইয়াছে ;– তিমিরে অনন্তকায় শূন্ত ধরাতল' ংস্কৃতে অনুবাদ করিলে এই পংক্তিটিকে মহাকবি ভারবির নিম্নোদ্ভূত প্রসিদ্ধ শ্লোকার্থের সঙ্গে অকুতোভয়ে গাথিয় দেওয়া যাইতে পারে । 聽 “ভবতি দীপ্তিরদীপিতকন্দর তিমির সংবলিতেব বিবস্বতঃ ” এই সর্গের মধ্যে কিছু দূরে প্রবিষ্ট হইলে যবন-নিপাতের নিদানীভূত ভারতবিখ্যাত জগৎশেঠের নিভৃত মন্ত্রভবন। এই মন্ত্রণা-চিত্রে অমুকৃতির কিঞ্চিৎ ছায়া আছে । যাহার মিন্টনের স্বর্গভ্রংশ কাব্যের দ্বিতীয় সর্গে পাণ্ডিমোনিয়মের