পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ אל ] নিঃস্থত না হইয়া স্বদেশবৎসল মোহনলালের মুখ হইতে নিঃসারিত হইত তবে আর কথাই ছিল না।* - (চতুর্থ সর্গ ১২৬ श्झेऊ s३१ পৃষ্ঠ, ১২৯ ইইতে ১৪০ পৃষ্ঠা )— মুর্শিদাবাদের বুদ্ধিমান লোকেরা মিরজাফরকে কর্ণেল ক্লাইবের গর্দভ বলিত। পঞ্চম সর্গে সেই গর্দভ-শ্রেষ্ঠের সিংহাসনে অভিষেক এবং সিরাজদ্দৌলার নিধন। কবি এই সর্গটকে শ্লেষ আশা নাম দিয়াছেন। যদি আমাদের ইচ্ছা অনুস্থত হইত, তবে আমরা ইহার এক নাম রাথিতাম মহাপাতক আর এক নাম রাখি তাম—আশার নিৰ্ব্বাণ । এখানেই সকলের সকল আশা ফুৰাইল, প্রদীপ চিরদিনের “তরে নিভিয়া গেল। এই সগের সমুদয় অংশ সমান হৃদ্য হয় নাই, কিন্তু এক একটি স্থান গ্ৰীচৰ্য্য। পাঠক কখন দুঃখে গলিয়া পড়িবেন, কখন ভয়ে স্তম্ভিতবৎ হইবেন। যখন মঞ্জুষাকুলের চির-কলঙ্ক কুমার মিরণের জনৈক পাপ সহচর কারাগারের গভীর অন্ধকার ভেদ করিয়া সিরাজের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিয়াছে এবং সেই দুঃখজর্জরিত, অৰ্দ্ধমৃত, হতভগ্য ঘুরার শিরচ্ছেদের জন্ত করে খড়্গ তুলিয়াছে, তখন দধাত্র চিন্তু কবি উপদেশ করিতেছেন “রে নির্দয় অনুচর। কৃতঘ্ন হৃদয়ে, কি কাজে উদ্যত আজি নাহি কিরে জ্ঞান ? কেমনে রে দুরাচার ! কেমনে নিৰ্ভয়ে নাশিতে উদ্যত আজি নবাবের প্রাণ ?”

  • 湘 崇 蜥
  • পরে মোহনলালের মুখে দেওয়া হইয়াছে।