পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

き c c পাল ও বর্জিনিয়া । তাহাতে পোতারূঢ় সকলেই “মরিলাম রে! গেলাম রে” ! বলিয়। অত্যন্ত চীৎকার করিতে লাগিল । নাৰিকেরা নিতান্ত নিরাশ হইয়। কেহ মাস্তুল-দগু, কেহ পাইলের দণ্ড, কেহ বা তক্তা, কেহ বা মেজখানা, কেহ ব৷ পিপাট। লইয়া সমুদ্রে ঝাপ দিতে প্রস্তুত হইয়া রহিল। সেই সময়ে জাহাজের বারাগুtয় দেখিতে পাইলাম তথায় বজিনিয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে এবং পালকে সাহসের সহিত আপনার নিকটে আসিতে দেখিয়। তাহারদিকে আপনার দুই বাহু প্রসারণ করিতেছে । সেই সুশীলা বালাকে তখন তাদৃশ ঘোর বিপদসাগরে নিমগ্ন দেখিয়া আমাদের হৃদয়মধ্যে নৈরাশ্য-তরঙ্গের সহিত শোকসাগর উদ্বেল হইতে লাগিল । সুধীরা ৰর্জিনিয়া জন্মের মত সকল বস্তুই ত্যাগ করিতে বসিয়াছিল বলিয়। সে তখন এমনি ভাবে এক একবার অামাদের দিকে হাত লাড়িতে লাগিল যেন সে আমাদের নিকট হইতে জন্মশোধ বিদায়ই প্রার্থনা করিতেছে । এইরূপে জাহাজের চোট বড় সকল কৰ্ম্মচারিগণ একে২ সমুদ্রে ঝাপ দিয়া পড়িতে লাগিল, কেবল এক জন নাবিক পড়িতে বিলম্ব করিতে লাগিল । আমর দেখিতে পাইলাম সে তখন গাত্রবস্ত্র সকল খুলিয়া ফেলিয়া উলঙ্গভাৰেও ৰজিনিয়ার সম্মুখে গিয়া ক্লতাগুলিপুটে কহিল “আমি আপনাকে তীর প্রাপ্ত করিয়া রক্ষা করিতে পারি, কিন্তু সস্তরণ করিবার জন্য আপনাকে ও বিবস্ত্রা হইতে হয় ’ । বর্জিনিয়া লজ্জায় তাহার 4দষ্ট হইতে মুখ ফিরাইয়া লইলেন এবং কহিলেন “তুমিই একাকী যাও আমি যাইব ন”। সে সময়ে