পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদা এক ক্ষুদ্র শিশুর মারাত্মক পীড়া হইয়াছিল, বঁাচিবার কোন সম্ভাবন ছিল না ! পাছে শিশুটি মরিয়া যায় এ আশঙ্কায় তাহার মাতা নিতান্ত দুঃখিত হইয়া মনের মস্তাপে শিশুর সমীপে বসিয়া একদৃষ্টে তাহার প্রতি নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । বালকের কোমল শরীরটি রোগের যন্ত্রণাতে সম্পর্ণরূপে পাণ্ডবর্ণ হইয়াছিল, চক্ষু দুটি মুদ্রিত, হাত পায়ে কিছুমাত্র বল না থাকাতে ক্রমশ উহ! অবশ হইয়া আসিল । লোকে দারুণ মনোদুঃখে কাতর হইলে যেরূপ দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করে, বালকটি সেইরূপ থাকিয়া থাকিয়া এক এক বার নিশ্বাস ছাড়িতে লাগিল । ইহাতে তাহার দুঃখিনী মাত পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক উৎকষ্ঠিত হইয় একান্তচিত্তে আপন প্রাণাধিক প্রিয়তম কুমারের প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া রহিলেন। এমত সময়ে এক বৃদ্ধ আসিয়া দ্বারদেশে আঘাত করিতে লাগিল । আমরা যেরূপ ঘোটকের শীত নিবারণের নিমিত্ত স্থল কম্বলদ্বারা উহার শরীর আচ্ছাদিত করি, ঐ ব্যক্তির গাত্রে সেইরূপ একখানি মোট কম্বল জড়ান ছিল । দারুণ শীত কাল, এমত সময় এরূপ বস্ত্র গাত্রে নLfদলে কোন ব্যক্তিই উষ্ণ থাকিতে পারে না । চারিদিগে শিশির