পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ গীতিকা وباد জিনিষের জন্য যেরূপ আবদার করিতেছে তেমনই আগ্রহে সে তাহার স্বামীর সেবা করিতেছে । “সোয়ামীরে খাওয়ায় আয়না ঘরুয়া মৈষের দই”—ছন্দের পারিপাট্য নাই, কথার বাহুল্য নাই ; কিন্তু এক একটি পদে, এক এক ছত্ৰে যেন কবি আমাদিগকে ভগবতী-প্ৰতিমা দেখাইতেছেন । যখন গায়েন চামর দোলাইয়া ইহার এক একটি ছত্ৰ সুকণ্ঠে গান করে, তখন শ্রোতৃমণ্ডলীর সম্মুখে সে যে সকল ছবি অ্যাকিয়া দিয়া যায়, তাহা তাহদের মন হইতে শীঘ্ৰ লুপ্ত হইবার নহে । যখন উজ্জ্বল ক্ষেত্ৰকৰ্ম্মে পরিশ্রান্ত হইয়া বাড়ী ফিরিয়া আসে, “অরিন্ত ছরন্ত” ( অতিশয় পরিশ্রান্ত ) উজ্জ্বল “ঘামে ভেজা অঙ্গ”, তখন “কাছোতে খাড়াইয়া আয়না গায়ে বাতাস করে ” এবং “ঠাণ্ডা নদীর পানি খাওয়ায় স্বামীরে ।” এই সুখ বেশী দিন রহিল না। উজ্জ্বল পুনরায় বাণিজ্যের জন্য প্রবাসে চলিয়া গেল। সংবাদ আসিল ঝড়ে নৌকাডুবি হইয়া সে মারা পড়িয়াছে। আয়না পাগল হইয়া গৃহত্যাগিনী হইল। সে নানা কষ্ট সহ্য করিয়া উন্মদিনীর মত এক নদীর সৈকতভূমিতে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল,—এমন সময়ে কুরুঞ্জিয় নামক এক বেদের দলের নৌকা সেই নদীতীরে আসিয়া ঠেকিল। কবি সেই বেদেদের একটি কৌতুহলপ্ৰদ বিবরণ দিয়াছেন। কুরুঞ্জিয়া মেয়েরা নানারূপ মসলা ফেরি করিয়া গ্রামে গ্রামে ঘুরিত, তাহদের পুরুষেরা রাধাবাড়া করিয়া পরিপাটিভাবে তাহদের স্ত্রীদিগকে খাওয়াইত। স্ত্রীলোকেরা ব্যবসায়-বাণিজ্য করিত, পুরুষেরা তাহদের দীর্ঘাকৃতি ডিঙ্গির দাড় বাহিত । কিন্তু তাহারা যতই অসভ্য এবং নীচজাতীয় হউক না কেন, তাহাদের মন ছিল সরল এবং পরদুঃখে আদ্রার্থ। তাহারা আয়নার দুঃখের কাহিনী শুনিয়া করুণায় বিগলিত হইল এবং তাহাকে তাহদের ডিঙ্গিতে আশ্রয় দিল । এখনও তাহার মনে আশা ছিল যে স্বামীকে ফিরিয়া পাইবে । সে কুরুঞ্জিয়াদিগকে চাঁদের ভিটা খুজিতে অনুরোধ করিতে লাগিল। কিন্তু তিন বছর চেষ্টা করিয়াও তাহারা চাঁদের ভিটার খোঁজ করিতে পারিল না । iBBBD SuBDB DDD DB DDBDBBDS STDDDBBBD BDD rBDB BDB DBBD তেরটি বাঁক অতিক্ৰম করিলে তাহারা চাঁদের ভিটা পাইবে । “সন্ধ্যাবেলায়