পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلالا খণ্ডে আমরা সেই সমস্ত বাণিজ্য-বৃত্তান্তসূচক পালাগানের কয়েকটি প্রকাশিত कब्रिद, अभी ब्रश्लि। ৭. ... আমরা এই সকল পালাগানে যে সকল স্ত্রীচরিত্র পাইয়াছি—তঁাহারা অপূর্বভাবের শ্ৰী ও হ্রাশালিনী। বঙ্গ-সাহিত্যের এই নায়িকাগণ সহসা আমার চক্ষে সমুদ্রমন্থনলব্ধ। শতদলবাসিনী কমলার অভু্যদয়ের ন্যায় চমৎকার মনে হইয়াছে। এই স্ত্রীচরিত্রগুলির কাহারও অবিচলিত ধৈৰ্য্য, কাহারও অপূর্ব দুঃখ-সহন-ক্ষমতা, কাহারও ভুবন-বিজয়ী প্রেম ও সংযম, কাহারও অদ্ভুত কাৰ্য্যতৎপরতা আমাদিগকে বিস্ময়ান্বিত করিয়াছে। অশ্বপৃষ্ঠে মহুয়া, প্রদীপকুমারের গৃহে কমলা, উত্তাল নদী তরঙ্গে ওiাণবিসর্জনের প্রাক্কালে মলুয়া, স্বামীর সারেঙ্গনিক্কণমুগ্ধা ভেলুয়া, রাজকুললক্ষনী কমলার নবখাত পুষ্করিণীতে আত্মদান-ইহার এক একটি চিত্র অমরবর্ণে উজ্জ্বল,-আমার স্মৃতিপট গৌরব-মণ্ডিত করিয়া এই চিত্রগুলি শোভা পাইতেছে। বিদেশী | সমালােচকেরা বলিয়াছেন, বাঙ্গালী জাতি প্ৰাচীন, তাঁহাদের যুবজনে৷াচিত ' শক্তি হারাইয়া ফেলিয়াছেন- এই জাতির গুণগরিমা অস্তমিত, এইরূপ অভিযোগগুলি পালাগান পড়িলে সমৰ্থন করা যায় না । বৰ্ত্তমান কালের নবগঠিত, সতেজ, সুসভ্য জাতিদের যে মুক্তিমন্ত্র, যে অবাধ কৰ্ম্মক্ষমতা, যে বিশ্ববিজয়ী তেজ ও ধূতি, এই পালাগানের নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে তাঁহাই পাওয়া যায়। যাহারা এই মুকুরে বিম্বিত বাঙ্গালীর চিত্ৰ দেখিবেন, তাহারা কখনই মনে করিতে পরিবেন না। তাহারা বাৰ্দ্ধক্য ও জরাগ্ৰস্ত, কৰ্ম্ম-শক্তিহীন পঙ্গু । ইহার কৰ্ম্মঠ ও বিস্ত্রসস্কুল সংসার ক্ষেত্রে জয়ের পতাকা ও আত্মার গরিমা বহন করিয়া যাইতেছেন। এ্যালেন আমেরিকার একজন শিক্ষিত । যুবক, তিনি যে কথা বলিয়াছেন, তাহার পূর্বে ডিরেক্টার গুটেন সাহেবও সেই কথাই লিখিয়াছিলেন—“যদি বাঙ্গালী এই পালাগানগুলির আদর করিতে পারেন, তবেই বুঝিব তাঁহারা বৰ্ত্তমানে বড় হইতে পারিবেন।” এগুলির মধ্যে সজীব প্রাণের চিহ্ন পত্রে পত্রে,—মুমূর্ষু শৃঙ্খলাবদ্ধ নিজীব মানুষের হীনবীৰ্যের চিহ্ন ইহাতে নাই। প্ৰবীণ শিল্পাচাৰ্য রোদেনষ্টাইন লিখিয়াছেন, এই পালাগানের নায়িকাগুলির চরিত্র পাঠ করিয়া মনে হইতেছে যেন অজান্তাগুহার চিত্রগুলি জীবন্ত হইয়া আমার চক্ষের সম্মুখে ਸ਼ਵਸ )