পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNor পূর্ববঙ্গ গীতিকা : আইনের ২৯২ ও ২৯৩ ধারা অনুসারে গ্রন্থকার ইয়ানস মিঞা, মিঃ এ. জে. খান, ডেপুটি মেজিষ্ট্রেটের বিচারে ৪০২ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। তঁহার প্রকাশক রহিমবক্সির উপরও সেইরূপ দণ্ডের আদেশ হইয়াছিল । পুস্তকের সমস্ত কপি পুলিশ আত্মসাৎ করিয়া লইয়াছিল। সুতরাং তাহ। এখন দুস্তপ্ৰাপ্য। পল্লীগ্রামের ভাষায় গ্ৰন্থকারকে মুসলমানের ‘সায়ের’ বলিয়া থাকে। ইয়নস মিঞাই এই চৌধুরীর লড়াইএর ‘সায়ের’ বলিয়া খ্যাতিলাভ করিতেছিলেন। কিন্তু বিপদে পড়িয়া আদালতে র্তাহাকে স্বীকার করিতে হইয়াছিল যে, তাহার পূর্বেও এই পুস্তকের অনেক সংস্করণ ছিল। সুতরাং তিনি যদৃষ্টং তল্লিখিতং করিয়াছেন—নুতন অপরাধ করেন নাই। সেই বিচারপত্রেও আমরা দেখিতে পাই যে এই গান দীর্ঘকাল যাবৎ নোয়াখালি অঞ্চলে গীত হইয়া আসিতেছে । নোয়াখালি গেজেটিয়ারে বাবুপুর পরগণার ইতিবৃত্ত উপলক্ষে লিখিত হইয়াছে : “এই পরগণার সত্বাধিকারীদের মধ্যে রাজচন্দ্ৰ নামক এক ব্যক্তি রঙ্গমালা নামক কোন নৰ্ত্তকার প্রেমে পড়িয়া ভয়ানক জ্ঞাতিবিরোধের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। এই ঘটনা চৌধুরীর লড়াই V নামক প্ৰচলিত পালাগানে বিবৃত হইয়াছে।” ৮. কাব্যের নায়ক রাজচন্দ্ৰ চৌধুরী নোয়াখালির প্রসিদ্ধ জমিদার, রাজা বিশ্বম্ভর শূরের বংশোদ্ভব। ইহারা বৰ্ত্তমান সময়ে মহারাজ আদিশূরের ংশধর বলিয়া গৌরব করিয়া থাকেন-কিন্তু ইহারা যে সমস্ত উপকরণ দিয়াছিলেন তাহা অবলম্বন করিয়া নোয়াখালি ডিষ্ট্রক্ট গেজেটিয়ারে ইহাদের যে বংশাবলী প্রদত্ত হইয়াছে তাহাতে লিখিত আছে, “মিথিলার রাজা” আদিশূরের নবম পুত্র বিশ্বম্ভরশূর চট্টগ্রাম তীর্থদর্শনে গমন করিয়াছিলেন। প্রত্যাবৰ্ত্তন কালে তিনি নোয়াখালিতে স্বপ্নে বরাহী দেবীকে দর্শন করিলেন। দেবীর আদেশ হইল যে, তিনি যদি নােয়াখালিতে তাহাকে পূজা করেন তবে ঐ রাজ্য তঁহার অধিকারে আসিবে । সুতরাং তিনি মিথিলায় প্ৰত্যাগমন না করিয়া নোয়াখালিতেই স্থায়ী হইলেন ।” বৰ্ত্তমান কালে কেহ কেহ ঐ আদিশূরকেই বঙ্গাধিপ বলিয়া দাবী করিয়াছেন, কিন্তু তাহারা যে বংশাবলী দিতেছেন তাহাতে দেখা যায় তাহদের পূর্বপুরুষ হইতে কেহই সাতাইশ পৰ্য্যায় হইতে নিম্নতর নহেন কিন্তু বঙ্গাধিপ। আদিশূরের अभकांकौन खांक्षा