পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूमिका Vov) রূপের ইতিহাস শুনিয়া রাজচন্দ্র উন্মত্তবৎ হইয়া গেলেন। তিনি তঁহার সেনাপতি এবং ভূত্য রাম ভাণ্ডারীকে সঙ্গে করিয়া নরের বাড়ীর নিকটস্থ এক দীঘির পাড়ে রঙ্গমালার সঙ্গে দেখা করিলেন । রঙ্গমালা তাহার ভালবাসা প্ৰত্যাখ্যান করল না, কিন্তু তিনি তাহার মনস্তুষ্টির জন্য কি করিতে পারেন। ইহা জিজ্ঞাসা করিলেন । রাজচন্দ্ৰ নিম্নলিখিত প্ৰতিশ্রুতিতে বদ্ধ হইলেন। তিনি রঙ্গমালার পিতা আত্মা নরের নামে সুবিশাল এক দীর্ঘিকা খনন করিয়া দিবেন এবং নরদের বাড়ীর কাছে এক প্ৰকাণ্ড নহবৎ উঠাইবেন। দিনরাত্র তাহাতে গীত বাদ্য হইতে থাকিবে ইত্যাদি। রাজচন্দ্ৰ প্ৰতিশ্রুতি অনুসারে দীঘি খনন করিলেন। রঙ্গমালা এই দীঘির যে পরিমাণ দিয়াছিল তাহ৷ ২২৪ দ্রোণ ব্যাপক অর্থাৎ ৪৫০ বিঘা। এতবড় প্ৰকাণ্ড দীঘি খনন করানো বহু ব্যয়সাধ্য। এই জন্য রাম ভাণ্ডারী রঙ্গমালার সম্মতি লইয়া কৌশলক্রমে অপেক্ষাকৃত স্বল্পায়তন দীঘি খনন BDDDSS SD BDBBBDD BBBD SSS BDSS DED DB BDBBB LeDBDD স্বল্লায়তন হইয়া গেলেও এখনও বিদ্যমান । রঙ্গমালার বাড়ির নিকট প্রকাগু নহবৎ উথিত হইল এবং আত্মানরের বাড়ী প্ৰায় রাজবাড়ার মতই সমৃদ্ধিশালী হইল। তখন রাজচন্দ্ৰ চৌধুরীর মনোমন্দিরে রঙ্গমালা অপসারীর ন্যায় নৃত্য করিতেছিল। তাহাকে কিসে খুশী করিতে পরিবেন। এই হইল তাহার মুখ্য চিন্তা। তিনি দীঘি-প্ৰতিষ্ঠা সময়ে তাদেশীয় সমস্ত ভদ্র-ইতর ব্যক্তিকে নরদের বাড়ীতে আহারের নিমন্ত্রণ করিলেন। ইহাতে ভদ্রলোকদের অপমানের চূড়ান্ত হইবে এবং তদনুসারে নরদের মৰ্য্যাদা বৃদ্ধি হইবে ইহাই ছিল তাঁহার সঙ্কল্প। চতুষ্পার্শবৰ্ত্তী ভদ্রলোকের রাজচন্দ্রের ভয়ে এই অপমান গলাধঃকরণ করিয়া নিমন্ত্রণ গ্ৰহণ করিলেন। কিন্তু রাজচন্দ্রের মস্তিষ্কে আর একটি মারাত্মক কল্পনা খেলিতে লাগিল। এই উপলক্ষে যদি তঁহার খুল্লতাত রাজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীকে নিমন্ত্রণ করিয়া নর-বাড়ীতে খাওয়ান যায়। তবে রঙ্গমালার প্রতিপত্তি ও নাম অশেষরূপে বৃদ্ধি পাইবে। এই প্ৰস্তাবে ভাৰী অনর্থ কল্পনা করিয়া রঙ্গমালা ভূয়ােভূয়ঃ বাধা দিয়াছিল। কিন্তু রাজচন্দ্ৰ বলিলেন যে তঁহার