পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆb 8 ভারতবর্ষ । যায়। তা-চেঞ্জ-তেঙ’ লঙ্কা-দ্বীপ হইতে তাম্রলিপ্তে আসেন। যে বাণিজ্য-পোতে তিনি তাম্রলিপ্তে আসিতেছিলেন, পধি-মধ্যে সেই বাণিজ্য-পোত দক্ষ্য কর্তৃক লুষ্টিত হইয়াছিল। এই ঘটনায় লঙ্কা-দ্বীপের সহিত তাম্রলিপ্তের বাণিজ্য-সম্বন্ধ ও সমুদ্রপথে বিশ্ব-বিপত্তির বিষয় উপলব্ধি হয়। হুই-লুন কোরিয়া হইতে তাম্রলিপ্তে আসেন। ইহাতে কোরিয়ার সহিত তাম্রলিপ্তের বাণিজ্য-সম্বন্ধের প্রমাণ পাওয়া যায় । ‘উ-হিং’ লঙ্কা-দ্বীপ হইতে তাম্রলিপ্তে আসেন এবং তাম্রলিপ্ত হইতে লঙ্কার পথেই স্বদেশে প্রত্যাবৃত্ত হন । ‘চেণ্ড-কন’ এবং তাহার সঙ্গিগণ চীনদেশ হইতে যাত্রা করিয়৷ শ্ৰীভোজ-দ্বীপ পর্য্যন্ত আসিয়াছিলেন। সেখানে ব্যারামপীড়া উপস্থিত হওয়ায় তাহারা তাম্রলিপ্তে পৌছিতে পারেন নাই । এই সকল বিবরণে চীনদেশীয় পরিব্রাজকগণের বর্ণনা হইতেই বিভিন্ন দেশের সহিত বঙ্গদেশের বাণিজ্য-সম্বন্ধ বুঝিতে পারি। হুয়েন-সাংয়ের বর্ণনায় প্রকাশ,—“তাম্রলিপ্ত বন্দরে বহুমূল্য দ্রব্যাদির এবং মণিমুক্ত প্রকৃতির ব্যবসায় চলিত। যেমন জলপথে, তেমনই স্থলপথে—তাম্রলিপ্তের বাণিজ্য সৰ্ব্বত্র বিস্তৃত ছিল। তাম্রলিপ্তের অনতিদূরে হরিকেলা’ নামে আর একটা প্রাচীন বন্দরের পরিচয় পাই । ‘তান-কোয়াঙ নামক চৈন-পরিব্রাজক ঐ বন্দরে জাসিয়া উপনীত হইয়াছিলেন বলিয়া প্রকাশ আছে । চীনদেশীয় একজন বিখ্যাত শ্রমণ-নাম ‘সেঙ-চি'শিষ্যগণ ও সঙ্গিগণ সমভিব্যাহারে একেবারে সমতট-বন্দরে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন । ইং-সিংয়ের বর্ণনায় পূৰ্ব্বোক্ত অধিকাংশ বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। তবেই চৈন-পরিব্রাজকগণের গতিবিধির কালে, খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত, বঙ্গদেশে তাম্রলিপ্ত, হরিকেলা এবং সমতট-তিনটী বাণিজ্যবন্দরের পরিচয় পাওয়া যায়। ঐ সকল বন্দর হইতে ভারউীয় দ্বীপপুঞ্জে ও মুদুর চীনদেশে সৰ্ব্বদা বাণিজ্য-পোতের গতিবিধি ছিল। কিন্তু ঐ সকল বন্দরের চিহ্ন পৰ্য্যন্ত এখন লোপ পাইতে বসিয়াছে। তাম্রলিপ্ত আর সে তাম্রলিপ্ত নাই । সমতটের স্থান-নির্দেশে মতান্তর ঘটিতেছে ; এমন কি, সমতটের সন্ধান পাওয়াই এখন কঠিন হইয়। দাড়াইয়াছে । হরিকেল কোথায় ছিল, এখন তাহার নাম ও চিহ্ন দুইই লোপ পাইয়াছে। পর্তুগীজ-প্রমুখ পাশ্চাত্য-জাতিগণের বাণিজ্যের কেন্দ্র-স্থল—সেদিনের সমৃদ্ধিশালী বন্দর সপ্তগ্রামেরই বা এখন কি নিদর্শন বিদ্যমান আছে ? বর্তমান হুগলী সপ্তগ্রাম জেলায় ত্রিবেণী-সঙ্গমের সন্নিকটে সপ্তগ্রাম চিহ্নিত হইতেছে বটে ; কিন্তু \g তাহাতে সপ্তগ্রামের স্মৃতি কিছুই নাই। যদিচ সপ্তগ্রামের সকল স্মৃতিজিবেণী ৷ চিহই লোপ পাইয়াছে, যদিচ উহার সকল ঐশ্বৰ্য্য-বিভবের কথাই কালের অন্ধতম-গর্ভে বিলুপ্ত হইয় পড়িয়াছে, তথাপি ষে কিছু বিচ্ছিন্ন বিবরণ দেখিতে পাই, যে কিছু বিক্ষিপ্ত উপাদান প্রাপ্ত হই, তাহাতেই পুরাবৃত্তে সপ্তগ্রামের প্রকৃষ্ট স্থান নির্দেশ করিতে পারি । সপ্তগ্রাম এক সময়ে সমৃদ্ধি-সম্পন্ন রাজধানী ছিল, সুখ-সম্পংঐশ্বর্ধ্যের কেন্দ্রস্থান-মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল। তখন, নানাদেশের নানাশ্রেণীর লোকসকল ঐ নগরে গতিবিধি করিতেন । তখন, সপ্তগ্রাম বিভিন্ন-শ্রেণীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জাবাস-স্থলে পরিণত হইয়াছিল। তখন, বিভিন্ন-সম্প্রদায়ের অসংখ্য লোকের বসবাস-হেতু DHBBB BBBB BB BBBBB DDDD DDD DBBD S DD BBBS BB