পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বর্ণমালা । 8»Y হইতে যেরূপে শব্দ-চিত্রের সৃষ্টি হইয়াছিল, এক-একটী চিত্র বিশ্লেষণ করিলে, তাহা বুঝিতে পারা যায়। মনুষ্য বুঝাইতে প্ৰথমে তাহার মস্তক, দেহ ও হস্ত-পদ আঁকিবার প্রয়োজন হইয়াছিল। সেই মূৰ্ত্তি অঙ্কনের পূর্বে, স্বীকার করিতে হয়, “মনুষ্য” অভিধেয় শব্দটি অবশ্যই জানা ছিল। যেমন মন্তক, শরীর ও হস্তপদাদি বিভিন্ন অংশের সমষ্টিতে মানুষ্যের চিত্র অঙ্কিত হইয়াছিল, মনুষ্য শব্দটিও সেইরূপ বিভিন্ন বর্ণের সমষ্টিতে উৎপন্ন হয় ; মানুষের মুৰ্ত্তিকে যেমন অংশে অংশে বিভক্ত করিয়া, ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত করিবার চেষ্টা হইতে পারে, “মনুষ্য’ শব্দটিকেও সেইরূপ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করিয়া DD DBDBD D DD DDB BD JYSSiB BDBD DDBB DBBB DDD DDS SLBB DBBD বর্ণমালার কল্পনা ও সৃষ্টি হয়। এইরূপে, প্ৰথমে শব্দ, তার পর শব্দাংশ, পরিশেষে বর্ণ উৎপন্ন হুইয়াছিল। সেই প্ৰাথমিক অবস্থায় সমাজের কতকগুলি লোক এক একটি চিহ্নকে এক একটি শব্দ বলিয়া চিনিয়া লইত। তখন সেই চিহ্ন অঙ্কিত হইলে, সেহি সমাজস্থা সকল ব্যক্তি চিহ্নাঙ্কিত শব্দকে বা ভাবকে বুঝিতে পারিত। তাহারা প্ৰথমে যে শব্দ ব্যবহার কিরিত, সে শব্দকে বিভক্তি প্ৰভৃতি পরিশূন্য শব্দাংশ বা ধাতু বলিলেও বলা যাইতে পারে। ক্রমশঃ, কালক্রমে, সেই শব্দাংশের সহিত বিভক্তি প্রভৃতি যুক্ত হয়, এবং তদ্বারা শব্দের কলেবর বৃদ্ধি হইয়া আসে। প্ৰথমে যে শব্দ তাহারা ব্যবহার করিত, তাহার কয়েকটি দৃষ্টান্ত নিম্নে প্ৰদৰ্শন করিতেছি ; যথা-মেষশাবক বুঝাইতে ‘আব’, সুৰ্য্য বুঝাইতে “রা:” গাভী বুঝাইতে ‘আউ” সিংহ, বুঝাইতে ‘মাউ’, স্বৰ্গ বুঝাইতে ‘পে” ইত্যাদি। অনেক প্রাচীন ভাযার উৎপত্তিস্থল বা মূল ধাতু-রূপে ঐ রূপ শব্দ এখনও ব্যবহৃত হইয়া থাকে। বর্ণমালা প্ৰথমে কোন দেশে সৃষ্ট হইয়াছিল, পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে তদ্বিষয়ে বিভিন্ন মত দেখিতে পাই। কেহ কেহ বলেন,-“ফিনিসীয় জাতি সর্বপ্রথমে বর্ণমালার ৰাম স্মৃষ্টি করিয়াছিল। তাঁহাদের নিকট হইতেই পৃথিবীর সভ্য-জাতি-সমূহ কোন দেশে লিপি-কৌশল শিক্ষা করিয়াছে। গ্রীক, লাটিন, আরবী, হিব্রু প্ৰভৃতি *****) প্রায় চারি শত প্রকার বর্ণমালা ফিনিসীয় বর্ণমালা হইতে উদ্ভূত হইয়াছিল,-এইরূপ কিংবদন্তী আছে। তন্মধ্যে অধুনা পঞ্চাশাৎ প্রকার বর্ণমালার অস্তিত্ব বিশেষভাবে উপলব্ধি হইয়া থাকে ” অপর এক শ্রেণীর পণ্ডিতের মত এই যে,-“মিশর দেশই বর্ণমালার উৎপত্তির আদি ক্ষেত্র।" গ্ৰীক-দার্শনিক প্লেটাে শেষোক্ত মতেরই সমর্থন করিয়াছেন। প্লুটার্ক ও টাসিটাস প্রমুখ প্রাচীন ঐতিহাসিকগণেরও ইহাই সিদ্ধান্ত। মিশর হইতে কোন সময়ে কি প্রকারে সেই বর্ণমালা-সমূহ ইউরোপে ও এসিয়া-খণ্ডে প্রচারিত হয়, পাশ্চাত্য পুৱাবিদগণ তাহারও পরিচয় প্ৰদান করিয়া গিয়াছেন। তাহারা বলেন,-“খৃষ্ট-জন্মের উনিশ শত বৎসর পূর্বে আব্রাহাম মিশর হইতে ইজরাইলে আসিয়াছিলেন। সেই সময়ে মিশরের বর্ণমালা ইব্রীয়গণের মধ্যে প্রচারিত হয়।” এতৎসম্বন্ধে আর এক মত প্ৰচারিত আছে। সে মতে প্ৰকাশ,-“খৃষ্ট-জন্মের সাৰ্দ্ধ দ্বি-সহজন বৎসর পূর্বে মিশর-দেশ সেমিটক জাতির অধিকার-ভুক্ত হইয়াছিল। তঁহারা গ্ৰায় পাঁচ শত বৎসর কাল মিশর-দেশে আধিপত্য বিস্তার করিয়া ছিলেন। সেই সময়ে