পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবীর স্বামী । S$రి কোনও সংশয় থাকিতে পারে না । অপিচ, তিনি যে ভোগ-বিলাস ও রাজ্যৈশ্বৰ্য্য অবহেলায় ত্যাগ করিয়া, নৈষ্কৰ্ম্ম্যের আদর্শ প্রদর্শন করেন, তদ্বিষয়েও কোনও মতান্তর ঘটিতে পারে না । মহাবীর স্বামীর জীবনে ত্যাগ-স্বীকারের, নির্লিপ্ত ভাবের এবং সমসৃষ্টির যে উজ্জল আদর্শ দেখিতে পাই, উপসংহারে তদ্বিষয়ে দুই একটি দৃষ্টাম্ভের উল্লেখ করিতেছি। সন্ন্যাসঅtশ্রম গ্রহণ করিয়া মহাবীর স্বামী প্রায় এক বৎসর এক মাল কাল এক"ী" বস্ত্রে দিনযাপন করিয়াছিলেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার অভিঘাত তাছাই উপর দিয়া চলিয়া যাইতেছিল। এক দিন সেই বস্ত্রখানির প্রতিও এক ভিক্ষুক ব্রাহ্মণের দৃষ্টি পড়িল । প্ৰভু ষখন সংসার-আশ্রম পরিত্যাগ করেন, তিনি যখন , দুই হস্তে অকাতরে আপনার অতুল ধন-সম্পৎ সকলই বিতরণ করিয়া ফেলেন ; ভিক্ষুক ব্রাহ্মণ তখন স্থানান্তরে ছিলেন ; সুতরাং প্রভুর নিকট উপস্থিত হইয়া ভিক্ষ-প্রার্থনায় তাহার সুযোগ ঘটে নাই। পরিশেষে, ব্রাহ্মণ যখন বিদেশ হইতে গৃছে ফিরিয়া আসিলেন, মহাবীর স্বামীর অলৌকিক দান-মাহায্যের বিষয় যখন লোকমুখে চারিদিকে প্রচারিত হইয়া পড়িল ; তখন, ব্রাহ্মণের গৃহিণী পতিকে অনুযোগ করিয়া কছিলেন,—“তুমি হেলায় রত্ন হারাইয়tছ । যদি এখনও পার, তাহার অমুসরণ কর। এখনও কিছু না-কিছু পাইলেও পাইতে পার।" পত্নীর নিৰ্ব্বন্ধতিশয্যে ব্রাহ্মণের প্রাণে উৎসাহের সঞ্চার হয়। মহাবীর স্বামী কোন বনে কোথায় অবস্থিতি করিতেছেন, তাহার অনুসন্ধানে ব্রাহ্মণ বহির্গত হন । যেদিন মহাবীর স্বামীর সহিত ব্ৰাহ্মণের প্রথম সাক্ষাৎ হইল, সেদিন প্রভুর আর কোনও সম্বলই ছিল না,—পরিধানে সেই বস্ত্রখানি মাত্র ছিল। প্রভূর নিকট উপস্থিত হইয়া, ব্রাহ্মণ কাতর-কণ্ঠে যখন ভিক্ষাপ্রার্থী হইলেন, প্রভু আপন পরিধেয় বস্ত্রের অৰ্দ্ধাংশ ছিন্ন করিয়া ব্রাহ্মণকে প্রদান করিলেন । ব্রাহ্মণ কিন্তু সেই বস্ত্রাংশ গ্রহণ করিয়াও পুনরপি প্রভুর পশ্চাদমুসরণে প্রবৃত্ত হইলেন । প্রভু এই সময় পদব্রজে একটি নদী পার হইতেছিলেন। সেই নদীগর্ভে এক-খও কাষ্ঠ ভাসমান ছিল । প্রভুর পরিহিত অৰ্দ্ধখণ্ড বস্ত্র সেই কাষ্ঠে সংলগ্ন হইয়া অঙ্গস্থলিত হইল । যে আপনি চলিয়া গেল, তাহার প্রক্তি আর কেন মায়া করি ? যে আপনি নিলিপ্তি করিল, কেন আর তাহাতে লিপ্ত হইতে চাই ? প্ৰভু সে বস্ত্রখণ্ডের প্রতি আর ফিরিয়া চাহিলেন না । তিনি যেমন এক মনে পথ চলিতেছিলেন, তেমনই চলিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণ তখন সে অৰ্দ্ধখণ্ড বস্ত্র ও কুড়াইয়া লইলেন। অতঃপর, নগ্নদেহে মহাবীর স্বামী যখন পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন, তাহার কি অলৌকিক পুণ্যপ্রভা—কেহই তাহাকে উলঙ্গ দেখিতে পাইল না ! নিষ্কাম-নিলি গু মহাপুরুষগণের নগ্নদেহই বা কি, আর আবৃত-দেহুই বা কি ! তাহাদের তেজ: প্রভায় উভয় অবস্থাই সমান। যাহা হউক, প্রভুর পরিত্যক্ত সেই ছিন্ন বস্ত্র দুইখণ্ড লইয়া ব্রাহ্মণ যখন প্রত্যাবৃত্ত হইলেন, তখন র্তাহার অর ঐশ্বৰ্য্যের অবধি রহিল না । দরিদ্র ব্রাহ্মণ সেই ছিন্ন বস্ত্র দুই খণ্ডের বিনিময়ে কোনও এক ভক্ত শ্রেষ্টীর নিকট হইতে আড়াই লক্ষ স্বর্ণ মুদ্র প্রাপ্ত হইলেন। বিষয়ী সংসারী বুঝিল— DDBB BBB BBB BBD BBBS BBB DD BBD SDSgS DDD BBDDS DDD DD ভাবুক জন বুঝিলেন—ব্রাহ্মণ নশ্বর বিত্তের লোভে প্রভুর সংসর্গ-রূপ অবিনশ্বর রত্ব হারাইয়াছে । 4 لا سيؤيد