পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিহারী SGS' মিশাইয়া রাজ্যশাসনের সুন্দর নিয়ম প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। রাজা ভিলং নদীর পারে একটি উচ্চ পৰ্ব্বতের উপরে “প্ৰতাপনগর’ নামে গ্রীষ্মাবাস প্ৰস্তুত করেন। অনেক অৰ্থ ব্যয় করিয়া কতকগুলি পাহাড়ীকে মুশৌরী প্ৰভৃতি স্থানে রাখিয়া ইরাজী ব্যাণ্ড শিখাইয়া লইয়া যান ; আমি যখন তিহারী গিয়াছিলাম, তখন , ইংরাজী ব্যাণ্ড শুনিয়া আমি অবাকুহইয়া গিয়াছিলাম । এই প্রকারে সুনিয়মে সুশৃঙ্খলায় রাজ্যশাসন করিয়া মহারাজ প্ৰতাপ সা পরলোক গমন করেন। তঁহার তিনটি পুল তখন নাবালক । ইংরেজ গবমেণ্ট নাবালকের রাজ্যরক্ষার জন্য প্রতিনিধি-সভা ( Council of Regency) গঠিত করেন, এবং মৃত রাজার কনিষ্ঠ ভ্রাতা প্ৰতিনিধি সভার সভাপতি ( Regent ) নিযুক্ত হন; তঁহারই হস্তে ষ্টেট রক্ষার "ভার প্রদত্ত হয়। এই রাজাভাতার নাম কুমার বিক্রম সা। সচরাচার লোকে তঁহাকে কুমার সাহেব বলিয়াই সম্বোধন করে । , , সম্পত্তিভোগের কি মোহিনী শক্তি ! যেখানে সম্পত্তি, যেখানে ক্ষমতা, সেইখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেইখানেই গোলযোগ । সামান্য ভূমিখণ্ডে সহস্ৰ সন্ন্যাসীর স্থান হয়, কিন্তু এই বিশাল পৃথিবীতে দুই জন রাজার স্থান কুলায় না। আমরা দরিদ্র,-সম্পত্তি, ধনগৌরবের মহিমা জানি না। এই দেখি, যেখানে অর্থ, সেইখানেই অনর্থ ; আর দেখি, যেখানে ক্ষমতা; সেখানেই তাহার অপব্যবহার; সেখানেই প্ৰতিযোগ্নিত্ব । বিশ্বনিম্নস্তুর এই বিশ্ব রাজ্যে এই গোলযোগ অশল্প