পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে, সে স্থানে যে দুৰ্গ স্থাপিত ছিল, তাহাকে এ হিসাবে “দুৰ্গ” আখ্যা দেওয়া যাইতে পারে না। দুর্গ বলিলে পাঠকের মানস-পটে যে সকল চিত্ৰ ফুটিয়া উঠে-নালাপানিতে তাহার কিছুই ছিল না। হিমালয়ের অগণ্য প্ৰস্তরখণ্ড চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হইয়া রহিয়াছে, চতুর্দিকে প্ৰকাণ্ড শালবৃক্ষসমূহ যুগান্তীত কাল হইতে অটলভাবে সমুন্নত মস্তকে অবস্থিত রহিয়াছে। এই প্ৰস্তরখণ্ড এবং এই শালবৃক্ষশ্রেণী, এই উভয় উপাদানে এই দুর্গ নিৰ্ম্মিত। শালবৃক্ষের বেষ্টনী-আর তাহার পাৰ্থে বৃহৎ প্রস্তরখণ্ড দ্বারা প্ৰকাণ্ড প্রাচীর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই প্ৰাচীরপরিবেষ্টিত স্থানের মধ্যে বীর বলভদ্র সিংহ ইংরাজেয়াম্পাহিত যুদ্ধের জন্য-প্ৰস্তুত হইয়া বসিয়াছিলেন ৷ ” ২৪শে অক্টোবর জিলেস্পাইর সৈন্যদল দেরাদুনে পৌছে তিনি সে সময় স্বয়ং উপস্থিত হইতে পারেন নাই, সৈন্য পরিচালনের ভর কর্ণেল মৌলি সাহেবের উপর প্রদত্ত হইয়াছিল। শীত ক্রমেই বদ্ধিত হইয়াছিল ; এবং খাদ্যদ্রব্যও তেমন সহজ প্ৰাপ্য ছিল না-সুতরাং শীতে সৈন্যগণকে অবসন্ন না করিয়া, প্রথম উদ্যমেই তিনি যুদ্ধ ব্যাপার শেষ করিাবেন, স্থির করিলেন , বিশেষতঃ একটি অসভ্য, পাৰ্ব্বত্য পল্লীর ভূস্বামীকে পরাস্ত করিবার জন্য এতখানি আয়োজন, সেই সৈনিক পুরুষের নিকট কিঞ্চিৎ বাহুল্য বলিয়া বোধ হইয়াছিল। অতএব সেই রাত্রেই কর্ণেল সাহেব বলভদ্রের -र्मिक्छे দূত প্রেরণ করিলেন, এবং তাঁহার সঙ্গে এই মৰ্ম্মে এক পুত্ৰ লিখিছেন যে, যদি পরদিন প্ৰত্যুষে বাির্ভার্ড অ্যান্ধ