পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ህውb” প্ৰবাস-চিত্র চলা দরকার ; মাথা বেঠিক হইলে পাহাড়ে লাগিয়া তাহা চূৰ্ণ হইবার, সম্ভাবনা, আর পা একটু পিছলাইয়া গেলে, স্রোতের টানো পৃথরের উপর পড়লে, শরীর চুর্ণ হইয়া যাইতে পারে। উপরে যে আলোকের কথা বলিয়াছি, তাহা ক্ৰমেই স্পষ্টতর হইতে লাগিল। শেষ কালে এমন একটি স্থানে পৌছান গেল, যেখানে মাথার উপর পাৰ্বতখণ্ড নাই; পৰ্ব্বত সেখানে ফাটিয়া দুইভাগ হইয়া গিয়াছে ; উচ্চতা প্ৰায় হাজার ফিট ; ফাটলের বিস্তার মাথার নিকট বোধ হয় চরি৷ পাচ হাতের অধিক হইবে না। তখন বোলা প্ৰায় দশটা, সুতরাং সুৰ্যকিরণ পশ্চিম দিকের পাৰ্ব্বতের গাত্রে এক হাত আন্দাজ নামিয়াছিল, আর সেই জন্যই আমরা একটু বেশী আলো পাইতেছিলাম। আরও কিয়দার অগ্রসর হইয়া দেখি, সেখানে * ফাক অনেক বেশী, কারণ উপর হইতে একখানি প্ৰকাণ্ড পাথর ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, এবং তাহার নীচে দিয়া জল আসিতেছে ; উপরে মুক্ত সুৰ্য্যালোক । আমরা বহু কষ্টে সেই ভাঙ্গ। পাথরখানির উপরে উঠলাম। কি সুন্দর স্থান ! দুই পাশ্বে দুইটি পর্বত সরলভাবে দণ্ডায়মান, মধ্যে এক প্রস্তরসিংহাসন, আর তাহার পদধৌত করিয়া নিৰ্ম্মল জলস্রোত ঝরঝর শব্দে প্রবাহিত । * আমরা সেই স্থানে একটু বিশ্রাম করিয়া সেই ভগ্ন প্রস্তরখণ্ডের অপর পার্শ্ব দিয়া, আবার উজানে চলিতে লাগিলাম ; কুস্তে সেই দীর্ঘ যষ্টি। বলা বাহুল্য, আমরা উত্তর মুখেই অগ্রসর হইতেছিলাম। আমাদের পথ এখন ক্রমেই সঙ্কীর্ণ হইতেছিল, দুই জন মাহুৰ পাশাপাশি থাইল্ড-প্লাল্লামািঙ্গক