পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ২য় সংখ্যা ] হাউস অব লেবারাস লিমিটেড, কুমিল্লা ... ..." " میمی می ۹ مریم می হাউস অব লেবারাসের কর্ষিগণ-মধ্যস্থলে যুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় হাউসের উন্নতিও আশানুরূপ দ্রুত হইতে পারে নাই। এমন অনেক দিন গিয়াছে যখন হাতে টাকা নাই--অর্ডার নাই— কাচা মাল নাই, অন্যদিকে ঘরে চাল-ডালও নাই। কিন্তু স্পষ্টই দেখা গিয়াছে, সদিচ্ছা, সততা ও সরল ব্যাকুলত এতটুকুও ব্যর্থ হয় নাই । কৰ্ম্ম আপনার পথ আপনি খুজিয়া লইয়াছে—নিজের প্রয়োজনীয় যাহ। —জোর করিয়া তাহা সংগ্ৰহ করিয়াছে। এবং এই ভাবেই, চতুর্দিকের যুগপৎ উপেক্ষা, অবজ্ঞ ও প্রতিকুল অবস্থার ভিতর দিয়া প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে গড়িয়া উঠিয়াছে। প্রায় এক প২সর এক দিকে কঠোর পরিশ্রম ও অন্ত দিকে খোর সার্থিক অনটন সহ করিবার পর অকস্মাৎ এক অভাবনীয় স্থান হইতে অযাচিত সাহায্য উপস্থিত হইল। কুমিল্লার পৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী—এমৃ ভট্টাচাৰ্য্য এও কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী, দানবীর শ্ৰীযুত মহেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বড় অসমরে হাউসকে সাহায্য করিতে অগ্রসর হইলেন। গতি প্রথম হইতেই তিনি এই কারখানার কার্য্য পশেষ অনুসন্ধিৎসার সহিত পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছিলেন। ইবং যে-মুহূর্তে কৰ্ম্মীদের সততা সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ ইলেন হিসাবী লোকের বাধায় কর্ণপাত না করিয়া দেই - &র্তেই তিনি অযাচিত ভাবে যথেষ্ট সাহায্য করিতে এস্তত হইলেন। ক্রমে ক্রমে তিনি হাউসকে বাইশ لإساس بينيه হাজার টাক। ( ২২• • • ) দিয়াছিলেন। ঐ টাকার জন্য তিনি কোনও মুদ, সত্ত্ব, তমলুক, জামিনদার বা অন্ত কোন কিছু চাহেন নাই—উদার সরল বিশ্বাসে দিয়াছিলেন। কেবল সৰ্ত্তের মধ্যে এই ছিল যে, ব্যবসার অবস্থ ভালো হইলে ঐ টাকা তাহাকে ফিরাইয়া দিতে হইবে। এইপ্রকার অযাচিত সাহায্য এই দেশে অত্যন্ত বিরল—এইজন্ত হাউস অব লেবারাস তাহার নিকট চিরকৃতজ্ঞ। মুখের কথা এই যে, হাউস অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে-সঙ্গেই শ্ৰীযুক্ত মহেশবাবুর সম্যক্ টাকা কড়ায় গণ্ডায় পরিশোধ করিয়া দিয়াছে—এমন-কি মহেশবাবু কোন প্রকার দাবী না করিলেও হাউস স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া সেই টাকার সম্যকু মুদ পর্য্যস্ত চক্রবৃদ্ধি-হারে শোধ করিয়া দিয়াছে। ১৯২৭ অব্দের উদ্ধৃত পত্রে দেখা যায়, ঐ বৎসর কারখানায় মোট ১,০৩,০০০ টাকার মাল তৈরী হইয়াছে। তন্মধ্যে লাভ দাড়াইয়াছে মাত্র ১১০০০ টাকা । লাভের সম্যক্ টাকাই আবার রিজার্ভ ফণ্ডে ভুক্ত হইয়াছে। কারণ, এই কারখানার লাভের টাক। কখনই বণ্টন হয় না, বোধ হয় হইবেও না । কারখানার উন্নতির জন্তই ঐ টাকা ব্যয় হয়। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্য্যস্ত হাউসের সম্পত্তির মূল্য দাড়াইয়াছে ৯৭••• টাকার উপর (অবশু ইতিমধ্যেই তাহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকায় যাইয়া দাড়াইয়াছে)।